হিন্দু পুরাণ অনুসারে, রাম ও রাবণের যুদ্ধের সময় শরৎকালে দুর্গাপূজা প্রথম উদযাপিত হয়, যা "অকালবোধন" নামে পরিচিত। শরৎকাল দেবতাদের ঘুমের সময়কাল হিসেবে ধরা হয়, তাই এই সময়ে পূজা সাধারণ সময়ের বাইরে। এই বছর দেবী দুর্গার আগমন দোলায় চড়ে এবং তিনি কৈলাসে ফিরবেন ঘটকে করে, যার অর্থ ছত্রভঙ্গ হওয়া।
২০২৪ সালের শারদীয় দুর্গোৎসবের তারিখগুলো হলো:
মহালয়া: ২ অক্টোবর, বুধবার
মহাপঞ্চমী: ৮ অক্টোবর
মহাষষ্ঠী: ৯ অক্টোবর
মহাসপ্তমী: ১০ অক্টোবর
মহাঅষ্টমী ও মহানবমী: ১১ অক্টোবর
মহাদশমী: ১২ অক্টোবর
প্রতি বছর দেবীর আগমন এবং গমন কী বাহনে হবে, তা তারিখের উপর নির্ভর করে। সপ্তমীতে দেবীর আগমন এবং দশমীতে গমন হয়। দুর্গোৎসব শেষ হওয়ার পর দেবী লক্ষ্মীর পূজা শুরু হবে মাত্র আড়াই দিন পর।
উপজেলার বিভিন্ন পালপাড়ায় প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত কারিগররা সুনিপুণ হাতে প্রতিমা তৈরি করছেন। কারিগররা জানিয়েছেন, প্রতিমা তৈরির উপকরণের দাম বাড়লেও মায়ের প্রতি ভক্তি থেকে তারা এই কাজ করে যাচ্ছেন।
তাড়াশ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ সান্যাল জানিয়েছেন, তাড়াশ পৌরসভাসহ উপজেলায় মোট ৪৫টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি পূজামন্ডপে প্রশাসনের নিরাপত্তা ও সহযোগিতা থাকছে। পুলিশি নিরাপত্তাও যথাযথভাবে নিশ্চিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাড়াশ থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন।
পল্লী বিদ্যুৎ তাড়াশ জোনাল অফিসের ডি.জি.এম. নিরাপদ দাস বলেছেন, পূজার সময় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিরবিচ্ছিন্ন রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা জাতীয় গ্রিডে কোনো সমস্যা না হলে বিদ্যুৎ সমস্যা হবে না।
মতামত