সাতক্ষীরা সাংবাদিক কেন্দ্র টকে হাবিবুল ইসলাম হাবিবের বক্তব্য: ‘দায় যার, জবাব তার’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরীতে সাংবাদিক কেন্দ্র আয়োজিত ‘দায় যার, জবাব তার’ শীর্ষক টক শোতে তিনি বলেন, “যে মাফুজাকে ধর্ষণের ঘটনায় শেখ হাসিনা সাতক্ষীরায় এসেছিলেন, সেই মাফুজাকে ধর্ষণের ঘটনার বিচার তিনি করেননি। উল্টো আমার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে আমাকে ৭০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। কিন্তু ওই দিন আমাকে সাতক্ষীরায় ছিলেন না, আমি ঢাকায় ছিলাম।” মানুষের ন্যায্য দাবি তুলে ধরতে হাবিবুল ইসলাম বলেন, “সাতক্ষীরায় মৎস্যজীবী দলের নেতা, সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি আমানুল্লাহ আমান হত্যার ঘটনায় আমি বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি। রাজনৈতিক মামলায় সাংবাদিকদের না জড়ানোর বিষয়ে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।” তিনি আরও জানান, “শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় করা মিথ্যা মামলায় আমাকে ৭০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল বিচারক বিশ্নানাথ মন্ডল। আমি বিষয়টি আইন উপদেষ্টাকে জানিয়েছি।” ২০০০ সালে কলারোয়ায় এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে পদপিষ্ট হয়ে মারা যাওয়া ৬ পরীক্ষার্থীর পরিবারকে সান্তনা দিতে খালেদা জিয়ার আসার ইচ্ছার কথাও উল্লেখ করেন হাবিব। তিনি বলেন, “তবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাকে কলারোয়ায় ঢুকতে দেয়নি।” ২০০৮ সালের নির্বাচনের বিষয়ে হাবিব বলেন, “সেনা সমর্থিত সরকারের পাতানো নির্বাচন ছিল। খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে ব্যর্থ হয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনে সেনাসমর্থিত সরকার।” এছাড়া বিএনপির উন্নয়ন পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিএনপি উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। বিএনপির কোন নেতা-কর্মী অপরাজনীতির সাথে জড়িত হলে তার ছাড় নেই। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আগামীতে বিএনপি সরকার গঠন করলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে।” সাতক্ষীরার উন্নয়নের পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, “সুন্দরবনকে কেন্দ্র করে পর্যটনকেন্দ্র, জলাবদ্ধতা নিরসন এবং বেকারত্ব নিরসনে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।” অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা সাংবাদিক কেন্দ্র টকের সমন্বয়ক এসএম বিপ্লব হোসেন ও রিজাউল করিমসহ সাতক্ষীরায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।