পরের জমি লিজ নিয়ে বিভিন্ন ফসল চাষ করে তেমন লাভের মুখ দেখতে না পেলেও সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌর এলাকার তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা আমানত হোসেন এবার ফিলিপাইনের ব্ল্যাক সুগার কেইন জাতের আখ চাষে সফলতা অর্জন করেছেন। প্রথমবারের মতো আখ চাষ করে তিনি এক বিঘা জমি থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার আখ বিক্রি করেছেন, যার মধ্যে খরচ বাদ দিয়ে লাভ হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার টাকা। তার এই সফলতা দেখে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে আখ চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, ফিলিপাইনের ব্ল্যাক সুগার কেইন জাতের আখের রঙ কালো খয়েরি। দেশীয় আখের মতো হলেও এর কান্ড নরম এবং রসের পরিমাণ ও মিষ্টতা বেশি। এই আখ লম্বায় ১২ থেকে ১৬ ফুট হয়ে থাকে। জৈব সার এবং সঠিক সময়ে পানি দিলে দ্রুত বেড়ে ওঠে, এবং কীটনাশকের প্রয়োজন হয় না। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় দিন দিন এ জাতের আখ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা।
আমানত হোসেন বলেন, "আমার নিজের জমি না থাকায় তিন বছরের জন্য ৬৫ হাজার টাকা দিয়ে এক বিঘা জমি লিজ নিয়ে আখ চাষ শুরু করি। প্রথম বছরে প্রতি বছর ২২ হাজার টাকা লিজ খরচসহ অন্যান্য খরচ হয়। এ পর্যন্ত ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার আখ বিক্রি করেছি এবং এখনো ১৫ হাজার টাকার আখ বিক্রির আশা করছি।"
তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, "তাড়াশ উপজেলায় তুলনামূলকভাবে আখ চাষের চাহিদা কম। তবে এবছর ৫ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে এবং আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে। কৃষি বিভাগ সবসময় কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছে, এবং আশা করছি আখ চাষিরা লাভবান হবেন।"
মতামত