উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারি বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা এখনো ভাঙনের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে পানি বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা কিছুটা স্বস্তি দিলেও নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে নদী ভাঙনের ভয়াবহতা দেখা দিয়েছে।
তিস্তাপাড়ের পশ্চিম ছাতনাই, পূর্ব ছাতনাই, খগাখরিবাড়ি, টেপাখরিবাড়ি, গয়াবাড়ি, খালিশা চাপানি, ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের বাসিন্দারা বর্তমানে নদীর ভাঙন থেকে নিজেদের রক্ষা করতে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। ইতোমধ্যে কিছু বাড়িঘর ও জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে, যা মানুষকে ভাঙনের আতঙ্কে ফেলেছে।
খালিশা চাপানি ইউনিয়নের বাসিন্দা শামীম আহমেদ জানান, পরপর কয়েকবার বন্যার কবলে পড়ে তার ফসল নষ্ট হয়েছে, এবং তার তিন বিঘা জমির আমন ক্ষেত এখনো পানিতে তলিয়ে আছে। পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের হযরত আলী জানান, গরু-ছাগলের খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে এবং পানি আবারও বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা করছে সবাই।
ডিমলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মেজবাহুর রহমান জানান, বন্যা মোকাবেলায় ৩০ টন চাল ও ১ হাজার ৫৮০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণের কাজ চলছে।
মতামত