সারাদেশ

কাউনিয়ার তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপরে, ভাঙ্গন আতঙ্কে তিস্তা পাড়ের মানুষ

কাউনিয়ার তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপরে, ভাঙ্গন আতঙ্কে তিস্তা পাড়ের মানুষ

ছবি : মুন টাইমস নিউজ


প্রকাশিত : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সন্ধ্যা ৭:০৯

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি এবং উজানের পানি ঢলের কারণে ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে তিস্তা। পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিস্তা পাড়ের উঠতি আমন ধান ও বিভিন্ন সবজি ক্ষেত বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। দীর্ঘ সময় পানির নিচে থাকলে এসব ফসলের মারাত্মক ক্ষতির শঙ্কা করছেন চাষিরা। একই সাথে বন্যার পানিতে বেশ কিছু পুকুরের মাছও ভেসে গেছে। এছাড়া বালাপাড়া ও টেপামধুপুর ইউনিয়নের হরিচরণ শর্মা, আজমখাঁ, হয়বত খাঁ, বিশ্বনাথের চর, চরগনাই, ঢুষমারা, চর রাজিব, গোপিঙ্গা, গদাই, পাঞ্জরভাঙ্গা, তালুক শাহবাজপুরসহ অন্যান্য চরাঞ্চলে অস্থায়ীভাবে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কিছু পরিবার। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, দুপুরের দিকে পানি সামান্য কমলেও সন্ধ্যা থেকে তিস্তার পানি আবারো বাড়বে। তাই চরাঞ্চলবাসীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকল ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, সবাই বর্তমানে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিদুল হক বলেন, "বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় কয়েক দফা মিটিং করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রয়েছে। ত্রাণ বিতরণসহ অন্যান্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে। এছাড়া আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে প্রয়োজন হলে মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে।" পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, "কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে এবং রাতের দিকে এটি আরও বাড়তে পারে। পানি বাড়ানোর কারণে তিস্তা সংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিষয়গুলো নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে যাতে রাস্তা-ঘাট বা ব্রীজ ভেঙে না যায়।"