রাজশাহী মহানগরীতে ৯ বছর বয়সী শিশু গৃহকর্মী আলিদাকে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগে গৃহকর্ত্রী সেতু বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আলিদার শরীরে চোখ-মুখসহ বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
শিশুটির বাবা-মা সৈয়দপুর, নীলফামারীতে থাকেন এবং প্রায় দুই বছর আগে তাকে রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানাধীন খুলিপাড়া বৌবাজার এলাকার ড. শামীম ও তার স্ত্রী সেতু বেগমের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে রেখে যান। দীর্ঘদিন ধরে সেতু বেগম তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে নির্যাতনের পর তাকে বৃষ্টির মধ্যে বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। স্থানীয়রা খবর পেয়ে পুলিশকে জানালে, পুলিশ এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং ওয়ান-ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করে।
গৃহকত্রী সেতু বেগম গ্রেফতার: এ ঘটনায় বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মেহেদী হাসান জানিয়েছেন, সেতু বেগমকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আওতায় গ্রেফতার করা হয়েছে। শিশুটির বাবা-মা নীলফামারী থেকে রাজশাহীর পথে রওনা দিয়েছেন। তারা আসার পর গৃহকর্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মানসিক অসুস্থতার অভিযোগ: সেতু বেগমের একজন আত্মীয় জানিয়েছেন, তিনি মানসিক রোগে ভুগছেন এবং এর আগেও শিশুটির ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন। তবে সেই সময় বিষয়টি প্রকাশ্যে আসেনি।
স্থানীয়দের ভূমিকা: স্থানীয় যুবক সুইট শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন। তিনি জানান, বৃষ্টির মধ্যে কাঁপতে থাকা শিশুটিকে একটি জঙ্গলের পাশে পাওয়া যায়। পুলিশের সহযোগিতায় শিশুটিকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয় এবং গৃহকত্রী সেতু বেগমের বাড়িতে পুলিশি অভিযান পরিচালিত হয়।
মতামত