সারাদেশ

রাজশাহীর বারিন্দ মেডিকেলের নার্সিং সুপারকে জোর করে বহিষ্কারের অভিযোগ

রাজশাহীর বারিন্দ মেডিকেলের নার্সিং সুপারকে জোর করে বহিষ্কারের অভিযোগ

ছবি : মুন টাইমস নিউজ


প্রকাশিত : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সন্ধ্যা ৮:১৭

রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারী পরিচয় দিয়ে বারিন্দ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং শাখার ভারপ্রাপ্ত সুপারকে চাকুরী থেকে বহিষ্কারের অভিযোগ উঠেছে। ভূক্তভোগী নার্সিং সুপারের নাম মোসাঃ তাজমিরা খাতুন, যিনি ২০১৬ সালের মে মাস থেকে হাসপাতালের বিভিন্ন শাখায় দায়িত্ব পালন করে আসছেন। গত রোববার, বিএসসি ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মাসুম রানা ও মোঃ জুবায়েরের নেতৃত্বে কিছু শিক্ষার্থী নার্সিং শাখার ভারপ্রাপ্ত সুপারের পদত্যাগ দাবি করে কলেজ চত্বরে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এক পর্যায়ে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ওই সুপারভাইজারকে জোর করে কলেজ থেকে বের করে দিতে চাইলে তিনি নগরীর চন্দ্রিমা থানায় ফোন করেন। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে শিক্ষার্থীরা পালিয়ে যায় এবং তাজমিরা খাতুন পুলিশের নিরাপত্তায় বাসায় চলে যান। এরপর, সোমবার দুপুর ২টার দিকে আবারও আন্দোলন শুরু হয়, যেখানে মাসুম রানা ও মোঃ জুবায়ের নার্সিং শাখার ভারপ্রাপ্ত সুপারকে বহিষ্কারের দাবি উত্থাপন করেন। এই দাবির প্রেক্ষিতে বারিন্দ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. মোঃ বেলাল উদ্দিন নার্সিং শাখার ভারপ্রাপ্ত সুপারের বহিষ্কারের ঘোষণা দেন। আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, তাদের দাবি পূরণ হওয়ার পর আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন। তবে মাসুম রানা ও মোঃ জুবায়েরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা আন্দোলনের প্রকৃতি সম্পর্কে কিছু বলতে না পেরে ফোন কেটে দেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর সমন্বয়ক মেশকাত মিশু বলেন, “মাসুম রানা ও মোঃ জুবায়ের নামে রাজশাহীতে আমাদের কোনো সমন্বয়ক নেই। তাদের আইনের আওতায় আনা দরকার।” বহিষ্কারের ব্যাপারে তাজমিরা খাতুন বলেন, “আমি জানতেই পারলাম না আমার অপরাধটা কি? আমার অজান্তেই এ ধরনের চক্রান্ত করা হবে, আমি কল্পনাও করতে পারিনি। দীর্ঘদিনের চাকরীর ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে গেলো।” বারিন্দ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং শাখার অধ্যক্ষ রেবেকা সুলতানার সাথে কথা হলে তিনি জানান, “এটি সম্পূর্ণ আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে নিউজের কিছু নেই। আমাদের প্রয়োজন হলে আমরা সাংবাদিক ডাকতাম।” অধ্যক্ষ ডা. মোঃ বেলাল উদ্দিন বলেন, “এটি ছিলো ছাত্রদের আন্দোলন। আমি বহিষ্কার করার কেউ না। বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে সেখানে কমিটি। বিস্তারিত জানতে কাল অফিসে আসেন।”