ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় চলতি মৌসুমে এবার আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। মাঠে মাঠে বাতাসে দোল খাচ্ছে সোনালী ধানের শীষ। মাঠে আমন ধানের শীষ দেখে কৃষকের মুখে ফুটছে হাসির ঝিলিক। কৃষকের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের এ ক্ষেতে আশাতীত ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, দিগন্ত জোড়া মাঠ সেজেছে সবুজ ও হলুদ রংয়ে। মাঠে ধানের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠছে গ্রামীণ জনপদ।
আমন ধান রোপনের পর থেকেই ফসলের মাঠে কৃষকের নিবিড় পরিচর্যা, সময় মতো সার, সেচ ও কীটনাশক প্রয়োগের কারণে আবাদ হয়েছে বেশ ভালো। তাছাড়াও ফসলের মাঠে তেমন কোনো রোগ বালাইও নেই। সব মিলিয়ে এবারের আবাদে সবাই পরিতৃপ্ত। এখন শুধু অপেক্ষা নিরাপদে ফসল ঘরে তোলার।
ধান চাষি মাসুদ মোল্যা ও কাইয়ুম মোল্লা বলেন, আগের থেকে পানি কম হওয়ায় আমাদের এই অঞ্চলে বছরে তিনটি ফসল সমান তালে চাষাবাদ হয়ে থাকে। এখন চলছে আমন ধানের সৃজন। অন্যান্য বারের তুলনায় এবার উচু মাঠে আবহাওয়া ঠিক থাকলে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা । কিন্তু নিচু জমিতে আগেই পানি বেধে যাওয়ার কারনে অনেকে সেই জমিতে ধান লাগাতে পারেনি। বর্তমানে কিছু মাঠে বপনকৃত ধান কাটা শুরু হয়েছে। ২০ থেকে ১ মাস পর থেকে রোপনকৃত ধান কাটা পুরোদমে শুরু হবে। আশা করা হচ্ছে এবার বিঘাপ্রতি ৪০/৫০ মণ ধান ফলন হবে। জমিতে ধানের শীষ দেখে আমাদের কাছে অনেক আনন্দ লাগছে।
উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সুদীপ বিশ্বাস বলেন, এবছর সালথা উপজেলায় ১২ হাজার ৩শ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে। আমরা কৃষকদের সবধরনের পরামর্শ দিয়ে আসছি। মাঠে ধানের শীষ অনেক বড় হযেছে। আশা করছি ফলন অনেক ভালো হবে। উপজেলায় মোট ৫৫ হাজার মেঃটন ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
মতামত