শিক্ষাঙ্গন

ইবির খালেদা জিয়া হলে আগুন, শিক্ষকদের দেরিতে আসায় ছাত্রীদের ক্ষোভ

ইবির খালেদা জিয়া হলে আগুন, শিক্ষকদের দেরিতে আসায় ছাত্রীদের ক্ষোভ

ছবি : মুন টাইমস নিউজ


প্রকাশিত : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রাত ১১:৫৭

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) খালেদা জিয়া হলে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৫টায় ডাইনিং কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। তবে হলের আবাসিক শিক্ষকদের দুই ঘণ্টা দেরিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর কারণে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগের দিন ডাইনিংয়ের চুলায় নতুন গ্যাস সিলিন্ডার লাগানো হয়। চুলার সংযোগে লিকেজ থাকায় চুলা জ্বালানোর সময়ই আগুন ধরে যায়। ঘটনার সময় অধিকাংশ শিক্ষার্থী ঘুমিয়ে ছিল। আগুন দেখে ছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং তারা দ্রুত জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) ফোন করেন। এক ঘণ্টা পর কুষ্টিয়া শহর থেকে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে তাদের পরামর্শে ছাত্রীরাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সৌভাগ্যক্রমে, এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। ছাত্রীদের অভিযোগ, আগুন লাগার পরপরই হলের আবাসিক শিক্ষকদের জানানো হলেও তারা প্রায় দুই ঘণ্টা পরে আসেন। শিক্ষার্থীরা বারবার সংকটকালে শিক্ষকদের উদাসীনতার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বলেন, সংকটময় মুহূর্তে তারা কোনো সাহায্য পান না। এমনকি তারা যোগাযোগ করার পরও কোনো সাড়া মেলেনি। শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, গত দুই মাসে পাঁচবার বিদ্যুৎ লাইনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু এখনো কোনো স্থায়ী সমাধান পাওয়া যায়নি। তারা গ্যাস সিলিন্ডার বন্ধ করার দাবি জানান এবং হলে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র স্থাপন ও ব্যবহারের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন করার আহ্বান জানান। কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের লিডার রফিকুল ইসলাম জানান, গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপে লুজ কানেকশন থাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে আপাতত কোনো বিপদের আশঙ্কা নেই। তিনি হলের ম্যানেজার ও সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির বিষয়টি উল্লেখ করেন। হলের ডাইনিং ম্যানেজার নারগিস খাতুন জানান, বৈদ্যুতিক সমস্যার কারণে হিটার ব্যবহার করা বন্ধ থাকায় গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা হচ্ছিল। এ বিষয়ে তিনি বলেন, "ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত।" হলের আবাসিক শিক্ষক ড. এরশাদুল হক জানান, ফোন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ফায়ার সার্ভিসকে বিষয়টি জানিয়েছেন। শিক্ষকদের মধ্যে সমন্বয়ের কারণে কিছুটা দেরি হয়েছে, তবে তিনি ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিলেন। ছাত্রীরা হলে গ্যাস সিলিন্ডার বন্ধ এবং অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দ্রুত স্থাপনের দাবি করেছেন।