ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেয়ে যা করতে পারবে সেনাবাহিনী

ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেয়ে যা করতে পারবে সেনাবাহিনী

ছবি : মুন টাইমস নিউজ


প্রকাশিত : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রাত ১১:৫০

সারাদেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রদান করেছে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এই ক্ষমতা আগামী দুই মাসের জন্য বলবৎ থাকবে, যা কমিশনপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেতী প্রু সই করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে মেজিস্ট্রেসি পাওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ফৌজদারী কার্যবিধির বেশ কিছু ধারা অনুযায়ী সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা বিভিন্ন আইন প্রয়োগ করতে পারবেন, যার মধ্যে রয়েছে গ্রেফতার, তল্লাশি, ওয়ারেন্ট জারি, বেআইনী সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করা ইত্যাদি। সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীর মতে, সেনাবাহিনী এই ক্ষমতার মাধ্যমে সরাসরি গ্রেফতার, তল্লাশি এবং বেআইনী কার্যক্রম মোকাবিলার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত আইনের ধারা অনুসারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতাসমূহ: - ধারা ৬৪: ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অপরাধ সংঘটনকারী ব্যক্তিকে গ্রেফতার এবং হেফাজতে রাখার ক্ষমতা। - ধারা ৬৫: গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার ক্ষমতা। - ধারা ৮৩/৮৪/৮৬: ওয়ারেন্ট অনুমোদন ও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অপসারণের ক্ষমতা। - ধারা ৯৫(২): নথিপত্র অনুসন্ধান ও আটক করার ক্ষমতা। - ধারা ১০০: ভুলভাবে বন্দী ব্যক্তিদের হাজির করার জন্য অনুসন্ধান-ওয়ারেন্ট জারি করার ক্ষমতা। - ধারা ১০৫: সরাসরি তল্লাশি করার ক্ষমতা। - ধারা ১০৭: শান্তি বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। - ধারা ১০৯/১১০: সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ভালো আচরণের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা। - ধারা ১২৬: জামিনের নিষ্পত্তি করার ক্ষমতা। - ধারা ১২৭/১২৮/১৩০: বেআইনী সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য বেসামরিক ও সামরিক শক্তি ব্যবহার করার ক্ষমতা। - ধারা ১৩৩/১৪২: স্থানীয় উপদ্রব ও জনসাধারণের উপদ্রবের ক্ষেত্রে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা। এই ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে সেনাবাহিনী দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।