সারাদেশ

কুড়িগ্রামে ঘর-বাড়ি ও ফসলি জমি রক্ষায় গ্রামবাসীর সেচ্ছাশ্রমে ভাঙন রোধের চেষ্টা

কুড়িগ্রামে ঘর-বাড়ি ও ফসলি জমি রক্ষায় গ্রামবাসীর সেচ্ছাশ্রমে ভাঙন রোধের চেষ্টা

ছবি : মুন টাইমস নিউজ


প্রকাশিত : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সন্ধ্যা ৬:৩০

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দুধকুমার নদীর শাখা কালজানি নদীর পাড়ে বাসিন্দারা সরকারি কোনো উদ্যোগ না পেয়ে নিজেদের উদ্যোগে ভাঙন রোধে চেষ্টা করছেন। তাদের অভিযোগ, বারবার সরকারি দপ্তরে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া পাননি। এই অবস্থায় স্থানীয়রা নিজেদের চাঁদার টাকায় প্লাস্টিকের বস্তুা কিনে বালু ভরিয়ে সেচ্ছাশ্রমে ভাঙন রোধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, কিছু গ্রামবাসী প্লাস্টিকের বস্তুায় বালু ভরছেন এবং নদীর পাড়ে ফেলছেন। গত ৪ মাস ধরে অব্যাহত ভাঙনের কারণে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ ধলডাঙ্গা গ্রামে তিন শতাধিক ঘর-বাড়ি এবং একরের পর একর ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন কবলিতরা জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডে বারবার যোগাযোগ করলেও কোনো প্রতিকার পাননি। স্থানীয়দের দাবি, তাদের এই প্রচেষ্টার পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামান্য সহযোগিতা পেলে ভাঙন রোধ করা সম্ভব হবে এবং তাদের ফসলি জমি ও ঘর-বাড়ি রক্ষা পাবে। দক্ষিণ ধলডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা মনছেদ আলী জানান, সরকারি দপ্তরে যোগাযোগ করে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে তারা গ্রামবাসীর কাছ থেকে চাঁদা তুলে প্লাস্টিকের বস্তুা কিনে বালু ভরে নদীতে ফেলছেন, কিন্তু তাতে ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না। ভুরুঙ্গামারী উপজেলার তিলাই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান একেএম ফরিদুল হক বলেন, দুধকুমার নদ গত ২-৩ মাস ধরে অব্যাহত ভাঙছে। প্রায় ৩শ' বাড়ি-ঘর ও কয়েকশো হেক্টর ফসলি জমি নদীতে চলে গেছে। ভাঙন রোধ করা না হলে বিদ্যুৎ ক্যাম্পসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর ক্ষতি হবে। সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল হাসান জানান, দুধকুমার নদীসহ অন্যান্য নদীতে ভাঙনের কথা স্বীকার করে বলেন, বরাদ্দ বা অনুমতি না থাকায় ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। সরকারি স্থাপনার জন্য কিছুটা কাজের অনুমতি পাওয়া যায়। জেলায় গত চার মাসে দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও তিস্তার ভাঙনে হাজার হাজার পরিবার বসতভিটা ও ফসলি জমি হারিয়েছে। ভুক্তভোগীরা সরকারের পক্ষ থেকে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রত্যাশা করছেন।