সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ভূমিহীন পল্লীতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও মারপিটের অভিযোগ উঠেছে সুজা মাহমুদ গংয়ের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতলেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে নকিপুর গ্রামের মো. ছকিমুদ্দিন গাজীর ছেলে মো. মোকসেদ আলী গাজী এই অভিযোগ করেছেন।
মোকসেদ আলী গাজী লিখিত বক্তব্যে জানান, ১৯৭৭ সালে শ্যামনগর মৌজায় সরকারের কাছ থেকে ভূমিহীনদের নামে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত পাওয়া ৪ একর ৬ শতক সম্পত্তি দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছিলেন। সেখানে ৪৩টি অসহায় ভূমিহীন পরিবার ঘরবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছে। কিন্তু সুজা মাহমুদ ওরফে সুজাউদ্দীন আহমেদ জাল কাগজপত্র তৈরি করে ওই ভূমিহীন পল্লী দখলের চেষ্টা শুরু করেন।
সুজা মাহমুদ জাল কাগজপত্রের ভিত্তিতে ৬২/২১ মামলা দায়ের করেন, যা পরবর্তীতে আদালতে প্রমাণিত হলে সুজা মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। জায়গা না পেয়ে সুজা মাহমুদ বিভিন্ন চক্রান্ত শুরু করেন এবং ভাড়াটিয়া বাহিনী নিয়ে ভূমিহীন পল্লী দখলের চেষ্টা চালাতে থাকেন।
মোকসেদ আলী আরও জানান, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পালায়নের পর উপজেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক জহুরুল হক আপ্পু ও যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক হাফিজ আল আসাদ কল্লোলের নির্দেশে সন্ত্রাসী বাহিনী ওই ভূমিহীন পল্লীতে হামলা চালায়। তারা বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয় এবং লুটপাট করে।
তিনি অভিযোগ করেন, জমির মালিক সুশান্ত চ্যাটার্জি সুজা মাহমুদের ছেলে মারুফের কাছে ১০ লক্ষ টাকা দেন, যার পর মারুফ ওই টাকা বিএনপি নেতাদের দিয়ে ম্যানেজ করে। টাকা পাওয়ার পর জহুরুল হক আপ্পু ও হাফিজ আল আসাদ কল্লোলের বাহিনী ভূমিহীন পল্লীতে হামলা চালায়।
মোকসেদ আলী গাজী দাবি করেন, হামলাকারীরা তাদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে এবং যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অবিলম্বে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভূমিহীন পল্লীতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দ্রুত হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন।
মতামত