মহানবী (সা.)-এর আদর্শে দেশ গড়তে চান - জামায়াতে ইসলামী

মহানবী (সা.)-এর আদর্শে দেশ গড়তে চান - জামায়াতে ইসলামী

ছবি : মুন টাইমস নিউজ


প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বিকাল ৫:০৩

বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং দেশের সুশাসন কায়েম করতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নেতৃবৃন্দ। তাদের মতে, বর্তমান সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হলে আল্লাহর আইন মেনে দেশ পরিচালনা করতে হবে। রাজশাহী নগরীর শাহ ডাইন কনভেনশন সেন্টারে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় ‘বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা.) এর আদর্শ’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী মহানগর শাখা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। অধ্যাপক মুজিবুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, “বর্তমান সরকার জনগণের মাঝে বৈষম্য তৈরি করেছে, যা একটি রাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। পুলিশ, আর্মি কিংবা সরকারি চাকরিতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে, বিরোধী দলের লোকদের চাকরি দেওয়া হচ্ছে না—এসব বৈষম্য দূর করতে হবে। মহানবী (সা.)-এর জীবন থেকে আমাদের শিখতে হবে কীভাবে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যায়।” তিনি আরও বলেন, "স্বৈরাচারী সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন বৈষম্য দূর হবে না। এজন্য সৎ নেতৃত্বের প্রয়োজন, যাদের মধ্যে আল্লাহভীতি রয়েছে। তাদের মাধ্যমে নতুনভাবে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পুনর্গঠন করতে হবে।" সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. এ কে এম আব্দুল লতিফ। প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ মাজলিসুল মোফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মাওলানা নাসির উদ্দিন হেলালী। সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী মহানগরীর আমীর ড. মাওলানা কেরামত আলী। বক্তারা আরও বলেন, "মহানবী (সা.)-এর আদর্শ মেনে চললেই সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব। আল্লাহর আইনই একমাত্র সঠিক পথ, যা মানবজাতিকে বৈষম্য, দুর্নীতি ও অসততা থেকে মুক্তি দিতে পারে।" সেমিনারে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ ১৯৭১ সালে বৈষম্যের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা কেউ বৈষম্য দূর করতে পারেনি। বরং তারা নতুন করে আরও বড় বৈষম্যের সৃষ্টি করেছে। আমাদের এ বৈষম্যের বিরুদ্ধে নতুন আন্দোলন শুরু করতে হবে।” অনুষ্ঠানে ১২ পৃষ্ঠার সেমিনার প্রবন্ধ সংকলনে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনের বৈষম্যহীনতা প্রতিষ্ঠার নানা দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হয়। বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয় তাঁর বিচারব্যবস্থায় সমতা, অর্থনৈতিক ভারসাম্য, সামাজিক ও রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠার কথা। অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।