ভাদ্রের বিদায়বেলায় বৃষ্টির অন্য রূপ,প্লাবিত করে গেলো নিম্ন অঞ্চল 

ভাদ্রের বিদায়বেলায় বৃষ্টির অন্য রূপ,প্লাবিত করে গেলো নিম্ন অঞ্চল 

ছবি : মুন টাইমস নিউজ


প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সকাল ১১:৫৬

শরৎ ঋতুর প্রথম মাস ভাদ্রের শেষ দিন ছিল গতকাল রোববার। সকাল থেকেই সালথার আকাশ ছিল মেঘলা। দিনভর বৃষ্টি হয়েছে। এমন বৃষ্টি আর মেঘলা আকাশ দেশের প্রায় সর্বোত্ত।আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সাগরে সৃষ্ট হওয়া স্থল নিম্নচাপ ধীরে ধীরে বাংলাদেশের সীমানা ছাড়ছে। আর এই ধীরগতির ফলেই বৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ সময় ধরে। অবশ্য আগামীকাল থেকে বৃষ্টি অনেকটা কমে যেতে পারে।আর মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি একেবারেই কমে যেতে পারে।
টানা বৃষ্টির কারণে এ অঞ্চলের জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। গতকাল সন্ধ্যারাত পর্যন্ত জেলায় রেকর্ড পরিমান বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে বাতাসের গতিবেগ ছিল তিব্র। তবে এ বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। অপরদিকে, টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানের নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে। রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। গতকাল রবিবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টির কারণে প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাসা বাড়ি থেকে বের হননি। বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঘর থেকে বের হয়েছে হকার, ইজিবাইক চালক ও শ্রমিকরা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও সকাল ১০টার পরে খুলেছে। অনেকটা ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন লোকজন। সালথা সদর বাজারের ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চালক শামীম উদ্দীন বলেন, সকাল থেকে রাস্তায় ঘুরছি। কিন্তু সেভাবে যাত্রী নেই রাস্তায়। আবার বৃষ্টির কারণে কোনো দিকে যেতেও পারছি না। অনেক ইজিবাইক চালক বৃষ্টির কারণে ঘর থেকেও বের হতে পারছেন না। সালথা উপজেলার বাসিন্দা মাহমুদুল আলম বলেন, সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। দুপুর হলেও অনেকেই ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। টানা বৃষ্টিতে জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। সড়কও অনেকটা ফাঁকা। অটোরিকশা-অটোবাইকের সংখ্যাও খুবই কম। সালথা বাজারের ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ বলেন, গত রাত থেকে টানা বৃষ্টি। সকালে দোকান খুলেছি দেরিতে। কারণ ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। একান্ত দরকার ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। তার পরে আবার থাকছে না বিদুৎ। দুপুর ১২টার পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে শুরু করেছে। তিনদিনের টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অনেক মানুষ। দুর্ভোগে পড়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় শত শত হেক্টর জমির ঘের,ফসলের ক্ষেতসহ বিভিন্ন জলাভূমি ডুবে গেছে।বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন মানুষ। এমন অবস্থা যে, চলাচল করতে গিয়ে মানুষ দুর্ঘটনায় পড়ছেন।