আশুলিয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের হাত থেকে ছোট ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে বড়ভাই সুলাইমান (১৮) প্রাণ হারিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা সুলাইমানকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে শুক্রবার রাত নয়টার দিকে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর কাঁঠালবাগান বালুর মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুলাইমান নীলফামারীর ডিমলা থানার দক্ষিণ সুন্দরখাতা গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার ডেন্ডাবর কাঁঠালবাগান কামালের বাড়িতে ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন এবং স্থানীয় আব্দুল্লাহ আল রাহাত ফেব্রিক্স নামের কারখানায় কাজ করতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে কিছু কিশোর বালু মাঠে খেলছিল। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে সেলিম নামের এক কিশোরকে মারধর করে কিছু সদস্য। সেলিমের বড় ভাই সুলাইমান ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাইকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। এ সময় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা সুলাইমানকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সুলাইমানের বাবা আব্দুল লতিফ জানান, তার ছেলে কারখানায় কাজ করত এবং কোনো ধরনের গ্যাং বা আড্ডায় জড়িত ছিল না।
তিনি দাবি করেন, এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা সুলাইমানকে যন্ত্রণা করেছে এবং এখন পর্যন্ত পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন বলেন, "লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন গ্যাং সদস্যের নাম পাওয়া গেছে। তাদের পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই-বাছাই চলছে এবং খুব দ্রুতই গ্রেপ্তার করা হবে। একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।"
মতামত