সারাদেশ

তাড়াশে জমে উঠেছে রোপা আমন ধানের চারা বিক্রি

তাড়াশে জমে উঠেছে রোপা আমন ধানের চারা বিক্রি

ছবি : মুন টাইমস নিউজ


প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সকাল ৯:৪৫

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে রোপা আমন ধানের চারা বিক্রি এখন জমজমাট। চলনবিল অধ্যুষিত এই অঞ্চলে বন্যা কম হওয়া এবং আবাদ মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কিছুটা দেরিতে হলেও ধানের আবাদ শুরু হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ের বর্ষণের কারণে কৃষকরা নতুন উদ্যমে রোপা আমন চাষাবাদে মনোনিবেশ করেছেন। উপজেলার ১০ থেকে ১২টি হাট-বাজারে এখন বিভিন্ন জাতের রোপা আমন ধানের চারা বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে আব্দুল গুটি, কাটারিভোগ, ব্রি-৯০, ব্রি-৪৯, ব্রি-৫১, ব্রি-৫৮, ব্রি-৩৪, এবং ব্রি-৩৬ জাতের চারা। চারা বীজের চাহিদা মেটাতে স্থানীয় কৃষকরা তাদের জমিতে চাষ করা অতিরিক্ত চারা বিক্রি করছেন। তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার মতে, এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে রোপা আমন আবাদ করা হচ্ছে। প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার হেক্টর বেশি। চলনবিল এলাকায় সারের সহজলভ্যতা এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় কৃষকরা ধানের আবাদে ব্যাপক সাড়া দিচ্ছেন। স্থানীয় কৃষক মুক্তার হোসেন জানান, এক বিঘা জমিতে ধান লাগাতে ৮০ আঁটি (এক পণ) চারা প্রয়োজন হয়, যার বাজার মূল্য ৪০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে রয়েছে। তবে চারা বীজের দাম বর্তমানে কমে যাওয়ায় কৃষকরা স্বস্তি পাচ্ছেন। তাড়াশ সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের কৃষক মীর শহিদুল ইসলাম জানান, অনেক নিচু জমি থেকে পানি নেমে যাওয়ার পর কৃষকরা দেরিতে হলেও রোপা আমন ধানের চারা লাগাতে শুরু করেছেন। ফলে শেষ মুহূর্তেও চারার চাহিদা বেড়ে গেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন আশা প্রকাশ করেন, যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটে, তবে এ বছর চলনবিল এলাকা থেকে অতিরিক্ত খাদ্যশস্য উৎপাদন সম্ভব হবে।