কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার ছাত্রদলের দুই নেতা বহিষ্কার হয়েছে। সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারনে দলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুদুজ্জামান রুবেল ও যুগ্ম আহ্বায়ক মাছুমপারভেজ রতনকে বহিষ্কার করা হয়।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এর দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সাক্ষরীত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারাদেশ প্রদান করেন।
তথ্যসূত্রে জানা গেছে, সদ্য পতন হওয়া স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন একটি দালাল চক্রের জন্য অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে দৌলতপুর সাব রেজিস্টার অফিসের সেবা প্রত্যাশীরা। দলিল লেখক সমিতির লোকজন, স্ট্যাম্প ভেণ্ডারের মালিকরা ও স্থানীয় কিছু আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত একটি চক্রটি রমরমা ঘুষ বাণিজ্য করে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। সেই ঘুষের টাকার ভাগ সাব-রেজিস্ট্রার, আওয়ামী লীগের নেতাদের পকেটে চলে যেত বলে জানান স্থানীয়রা।
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগষ্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করার পর এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছেন সাব-রেজিস্ট্রার অফিস নিয়ন্ত্রণ করা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতারা।
অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের নেতারা এলাকা ছেড়ে পালানোর পর পরই বিএনপির একটা গ্রুপ সাব-রেজিস্ট্রার অফিস দখলে নেন এবং চাঁদাবাজি শুরু করেন। এই পরিস্থিতিতে অফিস দখল করে চাঁদাবাজি, চাঁদার টাকা ভাগাভাগি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুটি গ্রুপ তৈরি হয়। গত ৪ সেপ্টেম্বর বুধবার বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। এতে দুই গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন, দৌলতপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাফর ইকবাল কর্নেল, ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাছুমপারভেজ রতন প্রমূখ।
আহতরা দাবি করে আহ্বায়ক মাসুদুজ্জামান রুবেলের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। চাঁদাবাজির বিষয়ে কেন্দ্রে জানাযানি হলে তারা সিদ্ধান্ত নেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল একটি সচ্ছ রাজনৈতিক দল। সে ক্ষেত্রে উক্ত দুজন দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় দলটি তাদের বহিষ্কার করে।
মতামত