ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের একমাসের মাথায় এবার পদত্যাগ করলো কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।
রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে বিদায়ী সিইসি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করতে শুধু নির্বাচন কমিশন সংস্কার করলেই হবে না, নির্বাচন ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে, সেই সঙ্গে প্রয়োজন রাজনৈতিক দলের ঐক্যমত। এ সময় জাতীয় নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হওয়া উচিত বলে মত দেন তিনি।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণ অভ্যুত্থান, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং অন্তবর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই আলোচনা ওঠে আসে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের বিষয়টি। কমিশন বেশ কদিন আগেই পদত্যাগের প্রস্তুতি নিয়ে রাখে। অবশেষে সংবাদ সম্মলেন করে পদত্যাগ করলো পুরো কমিশন।
বিদায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, তারা সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন করতে চাইলেও একপক্ষীয় নির্বাচন হয়েছে। সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করার পরামর্শ দেন সিইসি।
সংবাদ সম্মেলনে আসেননি কমিশনার আনিছুর রহমান ও রাশিদা সুলতানা।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠক করে বিদায় নেয় কমিশন। ২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন দায়িত্ব নেয়, তাদের অধীনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
মতামত