পাবনার ঈশ্বরদীতে নিখোঁজের ছয় দিন পর এক অপহৃত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে পৌর শহরের রহিমপুর এলাকার একটি বাসা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সিরাজ ফকির (৬৫) উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কৈকুন্ডা গ্রামের মৃত জলিল ফকিরের ছেলে। তিনি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে একটি প্রকল্পে কর্মরত ছিলেন। গত ২৪ আগস্ট থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
নিহতের ছেলে আল-আমিন হোসেন বলেন, ২৪ আগস্ট রূপপুর প্রকল্প থেকে কাজ শেষে ঈশ্বরদী শহরে যাওয়ার পথে আমার বাবা নিখোঁজ হন। ওইদিন দুপুর ২টার দিকে বাবার ফোন দিয়ে আমাকে একজন বলেন, তোমার বাবা আমাদের কাছে আটক। র্যাব-পুলিশের সঙ্গে কথা বলে লাভ হবে না। ১০ লাখ টাকা ২৬ আগস্ট সন্ধ্যার মধ্যে দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ২৬ আগস্ট রাতে আমি ঈশ্বরদী থানায় জিডি করি। এরপর বাবার ফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করি। কিন্তু পাইনি। শনিবার দুপুরে জানতে পারি বাবার মরদেহ রহিমপুরের শরিফুল ইসলামের বুলবুলের বাড়িতে পাওয়া গেছে।
বাড়ির মালিক শরিফুল ইসলাম বুলবুল জানান, গত ২২ আগস্ট উপজেলার বড়ইচরা গ্রামের আজিবর রহমানের ছেলে শাহজাহান আলী (২৮) সস্ত্রীক আমার বাড়ির চারতলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। ২৭ আগস্ট একমাসের ভাড়ার টাকা দিয়ে তারা বাড়ি থেকে বাইরে চলে যান। এরপর থেকে ফ্ল্যাটটি তালাবদ্ধ ছিল। গত দু’দিন ধরে চারতলার এ ফ্ল্যাট থেকে পঁচা গন্ধ বের হতে থাকলে শনিবার সকালে আমি পুলিশে খবর দেই। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সিরাজ ফকিরের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী বলেন,'ঘটনাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমিসহ পুলিশ সদস্যরা এসে উপস্থিত হয়েছি। প্রাথমিক তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তদন্ত শেষে আরো বিস্তারিত জানতে পারব।'
মতামত