সারাদেশে আন্দোলনকারী ছাত্র হত্যাসহ সকল হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে স্মরণকালের বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করেছে পিরোজপুরের ইন্দুরকানীর ছাত্র জনতা।
রোববার (১৮ আগষ্ট) সকালে উপজেলার সরকারি ইন্দুরকানী কলেজের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ইন্দুরকানী বাজার প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা চত্বরে গিয়ে এক পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়।
পরে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল আহসানের রুমে তালাদিয়ে ন্যামই প্লেট ভেঙ্গে ফেলা হয় ও ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন যাতে করে তিনি উপজেলায় আর না আসেন৷ বর্তমান চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বর আছেন।
ছাত্র-জনতা স্বৈরাচারি সরকারের কোন দোসরকে এই উপজেলা দেখতে চান না বলে স্মারক লিপিতে দাবি করেন।
রোববার সকাল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে ছাত্র-জনতা কলেজ মোড়ে এসে জমায়েত হয়। পরে সকাল ১০টায় মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাফিজুর রহমান। মিছিল শেষে পথসভায় বক্তব্য রাখেন ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ হাওলাদার, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ফরিদ হোসন, সদস্য সচিব আলমগীর কবির মান্নু, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আলী হোসাইন, জামায়াতের সেক্রেটারী তৌহিদুর রহমান রাতুল প্রমুখ।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী বলেন, “শেখ হাসিনা এদেশের নিরাপরাধ হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছেন। এসকল হত্যার বিচার এই বাংলাদেশের মাটিতেই হবে ইন শা আল্লাহ। অপরাধ করে কেউ পার পেয়ে যায়নি, পার পাবেও না। এই খুনি শেখ হাসিনা আল্লামা সাঈদীসহ আলেম ওলামাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রহসনের যুদ্ধাপরাধ মামলা সাজিয়েছিল। কিন্ত এদেশের মানুষ জানে আল্লামা সাঈদী নির্দোষ। আমরা আইন হাতে তুলে নিব না। আইনের মাধ্যমেই তাদের সকল হত্যার বিচার করা হবে”।
মতামত