সারাদেশ

ঝালকাঠিতে ছাত্রলীগ ও ছাত্রজনতা সংঘর্ষে রণক্ষেত্র আহত অর্ধশত

ঝালকাঠিতে ছাত্রলীগ ও ছাত্রজনতা সংঘর্ষে রণক্ষেত্র  আহত অর্ধশত

ছবি : মুন টাইমস নিউজ


প্রকাশিত : ৪ আগস্ট ২০২৪, বিকাল ৪:২৮

ঝালকাঠিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দালনের ছাত্রজনতা ও ছাত্রলীগসহ সরকার দলীয় সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে ঘটনা ঘটেছ। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে সংঘর্ষে লিপ্তদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ছাত্রজনতা দখলে নেয় পুরো ঝালকাঠি শহর। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শিক্ষার্থীরা ঝালকাঠি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে শহর প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে অবস্থান নেয়। এসময় দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ও হত্যার প্রতিবাদে শ্লোগান দিতে দেখা য়ায়। ভুয়া ভুয়া বলেও বিক্ষোভ করেন ছাত্রজনতা। এছাড়াও তারা বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত প্লেকার্ড নিয়ে শহরের কয়েকটি গুরুত্ত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণের সময় সরকার দলীয় সমর্থকদের সাথে তাদের শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটনা ঘটে। এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেস্টা করে। সংঘর্ষে শহরের কামারপট্টি চৌমাথার দ্বোতলায় একটি আধুনিক রেস্টুরেন্টে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর করে সংঘর্ষে লিপ্তরা। পরে পুলিশ বেরিকেড দিয়ে ছাত্রলীগ ও ছাত্রজনতাকে আলাদা করে দেয়। তবুও দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় শহরের রোনালছে রোড, কামারপট্টি চৌমাথা, আমতলার মোড়, ফায়ারসার্ভিস মোড়। ছাত্রজনতার ধাওয়ায় পুলিশও নিরপেক্ষ ভুমিকা পালন করে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। পরে টিয়ারশেল ও লাঠিচার্জ করে করে ছত্রভঙ্গ করলে সরকার দলীয় লোকজন নীরব ভুমিকা পালন করে। বিক্ষোভকারী ছাত্রজনতা ফায়ারসার্ভিস মোড় ও সাধনার মোড়ে অবস্থান নেয়। ছাত্রজনতার বিক্ষোভে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা অংশ নেয়। আন্দোলন বিক্ষোভকারীদের সাথে কারো মা, কারো বাবা, কারো বড় ভাই, কারো বড় বোন অংশ নেন। অনেকে শিশুকেও সাথে নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেয়। বর্তমানে শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মুহিতুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থী, ছাত্রজনতা ও ছাত্রলীগসহ সরকার দলীয় লোকজন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। এতে ৬জন আহত হয়েছে হাসপাতালে চিকিতসা নিয়েছে। আরোকিছু বিচ্ছিন্ন আহত হয়েছে। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। অপরদিকে জেলার কাঠালিয়া উপজেলায় বিক্ষোভকারীরা একটি বিআরটিসি বাস ভাংচুর ও একটি মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। রাজাপুরেও বিক্ষোভ করে আন্দোলনকারীরা।