সারাদেশ

শ্রীপুরে শিক্ষার্থীদের গণমিছিল, পুলিশের ৩টি গাড়ী ও দুটি বক্সে আগুণ

শ্রীপুরে শিক্ষার্থীদের গণমিছিল, পুলিশের ৩টি গাড়ী ও দুটি বক্সে আগুণ

ছবি : মুন টাইমস নিউজ


প্রকাশিত : ৩ আগস্ট ২০২৪, রাত ১০:২৯

দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, গণহত্যার প্রতিবাদে এবং ৯ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে গাজীপুরের শ্রীপুরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সকাল থেকে মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় বিক্ষোভ করে। বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুর উপজেলার গড়গড়ীয়া মাষ্টারবাড়ী থেকে জৈনা বাজার পর্যন্ত মহাসড়কে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। শনিবার (০৩ আগস্ট) বেলা সোয়া ১১টা থেকে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পল্লী বিদ্যুৎ মোড়ে অবস্থান নিতে থাকে। দুপুরে আন্দোলনকারীরা পুনরায় জড়ো হয়ে মাওনা চৌরাস্তা উড়াল সেতুর দিকে আসতে থাকে। তারা শ্রীপুর সড়কের ভাই ভাই সিটির নিচে রাখা পুলিশের তিনটি গাড়ীতে হামলা করে। এক পর্যায়ে পুলিশের সবকটি গাড়ীতে আগুণ ধরিয়ে দেয় এবং উড়াল সেতুর নিচে হাইওয়ে পুলিশের দুইটি বক্সে আগুন লাগিয়ে দেয়। এসময় পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে। ইটপাটকেল ও দৌড় দিতে গিয়ে আনুমানিক ১৫ জন আহত হয়। স্থানীয়রা জানান, শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী সরকারি কলেজ, আব্দুল আওয়াল ডিগ্রী কলেজ, মাওনা পিয়ার আলী ডিগ্রী কলেজসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা বেলা সাড়ে ১১ টায় লাঠি হাতে মাওনা উড়াল সেতুর নিচ দিয়ে প্রদক্ষিন করে। এসময় শ্রীপুর উপজেলা ও পৌরআওয়ামীলীগ এবং গাজীপুর জেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা উড়াল সেতুর নিচে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেয়। এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের দেখে ভূয়া ভূয়া বলে স্লোগান দিতে থাকে। আমার ভাই মরল কেন জবাব চাই, জবাব চাই বলে স্লোগান দেয়। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে মহাসড়কের উভয় পাশে সতর্ক অবস্থান নেয়। আন্দেলনকারীরা উড়াল সেতু প্রদক্ষিন করে পুনরায় পল্লী বিদ্যুৎ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি থাকলেও আন্দেলনকারীদের মিছিলে বাধা দিতে দেখা যায়নি। আন্দোলনকারীরা স্লোগান দিয়ে নিহত ছাত্রদের হত্যাকারীদেও বিচার দাবী করেন। তখন মিছিলে থাকা শিক্ষার্থীরা লাঠিসোটা নিয়ে আসতে দেখে পুলিশ শ্রীপুর সড়কে অবস্থান নেয়। এর ফাঁকে উড়াল সেতুর নিচে রাখা হাইওয়ে পুলিশের দুটি বাক্সে আগুন দেয়। তারা হামলা করে পুলিশ বক্সের জানালার গ্লাস ভাংচুর করে। গাজীপুর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ও গাজিপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল আলম রবিন জানান, শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা সাবেক ভিপি আহসান উল্লাহ, শ্রীপুর পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম মন্ডল এবং সাধারণ সম্পাদক সাবেক জিএস শেখ নজরুল ইসলাম, শ্রীপুর পৌর যুবলীগের সভাপতি হাসানুল ইসলাম আকন্দের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ ও গাজীপুর জেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা উড়াল সেতুর নিচে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেয়। এসময় আন্দেলনকারীরা তাদের মিছিল নিয়ে চলে যায়। পরে দুপুরের দিকে তারা আবার লাঠিসোটা নিয়ে উড়াল সেতুর দিকে আসতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা হামলা শুরু করলে বিশৃঙ্খলা শুরু হলে তারা ভাংচুর শুরু করে। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান জানান, আমরা নিরস্ত্র হাতে শান্তিপূর্ণভাবে শ্রীপুর সড়কের ভাই ভাই সিটিতে অবস্থান করছিলাম। আন্দোলকারীরা হঠাৎ করে নিরস্ত্র পুলিশের উপর হামলা করে। একপর্যায়ে তারা ভাই ভাই সিটির নিচে রাখা পুলিশের তিনটি গাড়ীতে হামলা করে ভাংচুর করে এবং আগুণ ধরিয়ে দেয়। পওে তারা উড়াল সেতুর নিচে হাইওয়ে পুলিশের দুটি বক্সেও আগুণ দেয়।