পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছেন সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মহাসড়কে অবস্থান নেন তারা। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন স্লোগান দিতেও দেখা গেছে। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। এসময় মহাসড়কে শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা হয়। এতে প্রাথমিকভাবে সাংবাদিকসহ অন্তত ২৬ জন আহত হয়। বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করার উদ্দেশ্যে বের হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে আনসার ক্যাম্প সংলগ্ন স্থানে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ ও ডিবির প্রায় শতাধিক সদস্য শিক্ষার্থীদের বাধা দিতে গেলে প্রথমে ধস্তাধস্তি হয়। এরপর আবাসিক হল ও মেসের প্রায় ৮০০-১০০০জন শিক্ষার্থী এসে যুক্ত হয়ে পুলিশের বাধা অতিক্রম করে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ করে। এরপর শর্টগান দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলির পাশাপাশি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। যা কিছুক্ষণ পর তুমুল সংঘর্ষে রূপ নেয়। পরবর্তীতে এমন সংঘর্ষে ২৬ এর অধিক শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও পুলিশবআহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। পরে তাদেরকে তিনটি এ্যাম্বুলেন্সযোগে সদর মেডিকেলে পাঠানো হয়। বিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ সার্কেলের অতিরিক্ত এএসপি এমরানুল হক মারুফ বলেন, প্রতিদিন এভাবে রাস্তা ব্লক করে রাখা দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। তাই আমরা আজ শিক্ষার্থীদের বাধা দিতে আমরা এখানে এসেছি। শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। এ বিষয়ে আমরা পরে ব্যবস্থা নেব। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) খন্দকার আশফাকুজ্জামান বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পুলিশকে দেখে উত্তেজনামূলক স্লোগান দিতে থাকে। যার ফলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা নির্দেশ অমান্য করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দিকে চলে আসে। শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে থাকলেও পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে।
মতামত