সারাদেশ

গৌরনদীতে নবজাতকসহ অপচিকিৎসায় মায়ের মৃত্যু

গৌরনদীতে নবজাতকসহ অপচিকিৎসায় মায়ের মৃত্যু

ছবি : মুন টাইমস নিউজ


প্রকাশিত : ৪ জুলাই ২০২৪, সন্ধ্যা ৮:৩৪

বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলায় নবজাতকসহ এক প্রসূতি নারীর মৃত্যু হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিজারিয়ান অপারেশনের সময় নবজাতকের মৃত্যুর হয় এবং এর পর অপচিকিৎসায় ২৫ বছর বয়সী প্রসূতি নাজমুন নাহারের মৃত্যু হয়। এমনটাই ঘটেছে গৌরনদী উপজেলার সরিকল বন্দরস্থ হেলথ কেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনিষ্টক সেন্টারের। ০৩ জুলাই বুধবার দুপুরে ওই ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত প্রসূতি বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের উত্তর চরভুতেরদিয়া গ্রামের আমিনুল ইসলামের স্ত্রী এবং একই ইউনিয়নের ব্রাক্ষ্মনদিয়া গ্রামের শাহজাহান হাওলাদারের মেয়ে। নবজাতকসহ নিহত প্রসূতি নারীর ননদ আসমা বেগম অভিযোগ করে সাংবাদিকদের মুঠোফোনে জানান, সরিকল হেলথ কেয়ার ক্লিনিকে তার ভাবির সিজার হয়। সিজারের পর নবজাতকের মৃত্যুর খবর জানায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি আমরা মেনে নেই। নবজাতক যেহেতু মারা গেছে প্রসূতি নারীকে যেন সুস্থ থাকেন এমনটাই জানান নিহতের স্বজনার। এসময় হাসপাতাল কৃর্তপক্ষ জানান প্রসূতি নারী সুস্থ আছে। পরবর্তীতে রোগী অসুস্থ হয়ে পরলে প্রথমে বরিশাল আরিফ মেমোরিয়ালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রোগীর জ্ঞান না ফিরলে শেরই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। এরপর শেরই বাংলা মেডিক্যালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অপচিকিৎসায় তার ভাবির মৃত্যু হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, হেলথ কেয়ারে বসেই রোগীর অবস্থা খারাপ ছিলো। তারা একবার বলেছে তিন ব্যাগ ব্লাড লাগবে। আরেকবার বলেছে পাঁচ ব্যাগ লাগবে। এরপর বলে আপনারা রোগী এখান থেকে নিয়ে যান। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে অনীহা প্রকাশ করেন নিহতের পরিবার। পরবর্তীতে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সাথে ম্যানেজ হওয়ার কথা স্বীকার করেন নিহতের ভাই আসলাম হাওলাদার। এ বিষয়ে জানতে সিজারকারী ডাঃ মুসলিমা জাহান অসি’র মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি। তবে ক্লিনিকের শুভাকাঙ্ঘী পরিচয় দিয়ে সুমন হোসেন নামের এক ব্যক্তি মুঠোফোনে জানান, ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ প্রসূতিকে ভর্তি করতে চায়নি। তার স্বজনদের অনুরোধে ভর্তির পর সিজার করা হয়েছে। তবে তিনি সংবাদটি প্রচার না করতে অনুরোধ করেন এবং রোগীর স্বজনদের ম্যানেজ করার বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে জানা গেছে সুমন ওই ক্লিনিকের অংশীদার। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মনিরুজ্জামান জানান, এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।