সারাদেশ

নান্দাইলে কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা

নান্দাইলে কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা

ছবি : মুন টাইমস নিউজ


প্রকাশিত : ২৩ এপ্রিল ২০২৪, দুপুর ১২:৫২

বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে বসে মোবাইল দেখছিল রানা মিয়া (২৫)। সেখান থেকে ডেকে নিয়ে ধান খেতের পাশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায়। রানার আর্তচিৎকারে তার চাচাতো ভাই শফিক মিয়া মুমূর্ষ অবস্থা তাকে উদ্ধার করে নান্দাইল উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে রাত ১ টার দিকে মারা যায়। রবিবার (২১ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১০ টার দিকে এমন ঘটনা ঘটেছে উপজেলার রাজগাতি ইউনিয়নের বনাটি গ্রামে। নিহত রানা মিয়া ওই গ্রামের আবুল হাসেমের পুত্র। রানার মৃত্যুর খবর শুনে সোমবার (২২ এপ্রিল) ভোরে ক্ষুব্দ লোকজন অভিযুক্তদের বাড়িতে হামলা করে। এঘটনায় খবর পেয়ে নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকা সন্দেহে বকুল মিয়া, বুলু মিয়া ও হামিম মিয়াকে আটক করে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে৷ এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বনাটি গ্রাম জুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করায় সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। নিহত রানার চাচাতো ভাই রুবেল মিয়া ও বকুল মিয়ার জানান- বনাটি গ্রামে দুটি গ্রুপ রয়েছে। একটি গ্রুপের নাম রাজন গ্রুপ অপরটি সোলমান গ্রুপ। রানা মিয়া রাজন গ্রুপের সদস্য গত করোনাকালীন সময়ে এই দুটি গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক দ্বন্দ্ব হয় পরে সেটি স্থানীয় সালিশ দরবারে মীমাংসা হয়। কিন্তু সোলেমান গ্রুপের ক্ষোভ থেকে যায় সে থেকেই রানাকে হত্যা করে। সোলেমান গ্রপের সোলেমান, খাইরুল ইসলাম , সাগর মিয়া , বকুল মিয়া , ভুলু মিয়া. হামিম,মো. হান্নান, তরিকুল আলমগীর সহ ১২-১৫ জনের একটি গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রানা মিয়াকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। নিহত রানা মিয়ার মা সেলিনা বেগম বলেন- রানা আমার আদরের সন্তান। কিছুদিন পর তার বিদেশ যাওয়ার কথা। তার আগেই আমার সন্তানটাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমার ছেলে হত্যার কঠিন বিচার চাই। নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মো. আব্দুল মজিদ বলেন- পূর্ব শত্রুতার জেরে হত্যাকান্ডের মত ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় তিন জন কে আটক ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।