সারাদেশের ন্যায় ঠাকুরগাঁওয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। ৩৬ডিগ্রি তাপমাত্রায় সূর্যের চোখ রাঙ্গানী, তীব্র গরম আর রোদে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। সকাল ৭ টার পর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে,বিকাল সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত তাপমাত্রারবেগ থাকে।
বৈশাখ মাস পড়লেও বৃষ্টিপাত না হওয়ায় গরমে হাসফাস করছে জনজীবন তীব্র গরমে সব চেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া সাধারণ নিন্ম আয়ের মানুষগুলো। প্রকৃতির এমন আচরণে প্রাণ ওষ্ঠাগত তাদের। রোদের তেজে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেকেই। কাজের চাপে বাড়ি থেকে বের হয়ে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়াতলে আশ্রয় নেন অনেকেই। গত কয়েকদিনের অব্যাহত তাপমাত্রায় বেশি কষ্ট পাচ্ছেন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ গুলো।
টেংরিয়া গ্রামের ভ্যানচালক আলমগীর হোসেন বলেন, ভাই কয়দিন খুব গরম পরছে ভ্যান নিয়ে বাইরে আসা যাচ্ছে না গা ঘামে জাম ভিজে যাচ্ছে সকালে ভূট্রার বস্তা নামায়ে অস্তির হয়ে গেছি তাই গাছতলায় বসে আছি। একই এলাকার ভ্যানচালক জহর আলী বলেন, আগে যদি ও দৈনিক ইনকাম হতো ৫০০-৬০০টাকা কিন্তু প্রচন্ড ভেপসা গরমে যাত্রী সংখ্যা কম হওয়ায় ভাড়া কম হচ্ছে সকালে একটু গরম কম লাগলেও দুপুরের পর অসহ্য গরম লাগছে। বাইরে বের হওয়ায় যাচ্চে না।
হরিপুর উপজেলার গোপাল পুর গ্রামের চাষী মোবারক আলী বলেন, কয়েক দিন ধরে প্রচন্ড তাপদাহ দেশের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে প্রচন্ড গরম পড়ছে মাঠে কাজ করা যাচ্ছে না। ভুট্টা ভাঙ্গতে হবে তাই মাঠে এসেছি। কিন্তু রোদের যে তাপমাত্রা তাদের বেশিক্ষন কাজ করা যাবে না।শুধু জনপ্রাণী নয় এই ওষ্ঠাগত প্রচন্ড তাপদাহের কারনে ছাড় পায়নি পুকুর, নদী ডোবা, প্রচন্ড রোদের কারনে পানি শুকিয়ে হারিয়েছে তার প্রকৃতির রুপ। এদিকে প্রচন্ড গরমের কারণে বেড়েছে ডায়রিয়াসহ গরমজনিত রোগ। বিশেষ করে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
এ ব্যাপারে পল্লী চিকিৎসক আকতারুল ইসলাম জানান, গরম জনিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে হলে বাশি-পঁচা খাবার পরিহার করতে হবে। ভাজা-পোড়া খাবার কম খেতে হবে। প্রচন্ড রোদ এড়িয়ে চলতে হবে। যথাসম্ভব ছায়া-শীতল স্থানে থাকতে হবে,হিট স্টোক থেকে বাঁচতে, বিশুদ্ধ নিরাপদ পানি, আখের রস,ডাবের পানি,স্যালাইন, গ্লুকোজের পানি পান করতে হবে।
মতামত