সারাদেশ

আক্কেলপুরের `কালা পাহাড়’ দাম ১৪ লাখ টাকা

আক্কেলপুরের `কালা পাহাড়’ দাম ১৪ লাখ টাকা

ছবি : মুন টাইমস নিউজ


প্রকাশিত : ১০ জুন ২০২৪, সন্ধ্যা ৬:৩৬

পুরো শরীর ও মুখমন্ডল সাদার ওপর কালো ছোপ ছোপ দাগের হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের গরু কালা পাহাড় দেখতে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার হাস্তাবসন্তপুর (মৎস্য জীবি ) মহল্লার লোকমান হোসেনের বাড়িতে প্রতিদিন ভিড় করছেন নিজ এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ। উচ্চতা সাড়ে ৫ ফুট প্রস্থ ৯ফুট কালা পাহাড়ের বয়স ৫বছর। দানবের মতই বিশালাকৃতির কালা পাহাড়ের ওজন ৩৫ মণ। সৌখিন ক্রেতারাও গরুটির খোঁজ খবর নিয়ে দামদর করছেন। ঈদকে সামনে রেখে লোকমান কালা পাহাড়ের দাম হাঁকাচ্ছেন ১৪ লাখ টাকা। তার আশা হাটে নয় বাড়ি থেকেই তিনি কাঙ্খিত দামে গরুটি বিক্রি করতে পারবেন কিন্তু কালা পাহাড়কে হাটে নিয়ে যাওয়াও অসম্ভব। যদিও কালার দাম উঠেছে এ পর্যন্ত ১১ লাখ টাকা। লোকামান বলেন, বাব-দাদার আমল থেকে তারা গরু লালন করছেন। জন্মের কিছুদিন পর কালার মাকেও বিক্রি করে কালাকে লালন পালন করেন। কালার বয়স এখন ৫বছর। ছোট থেকেই কালা পাহাড় খুব আরাম প্রিয়। গরম কিছুতেই সহ্য করতে পারে না। তাই সার্বক্ষণিক বৈদ্যুতিক ফ্যান দিয়ে রাখতে হয়। বিদ্যুত না থাকলে হাত পাখা দিয়েও কালা পাহাড়কে বাতাস করতে হয়। দিনে ৬-৭বার গোসল করাতে হয়। খাবার খায়ও পাহাড়ের মতই। এ জন্য তিনি নাম রেখেছেন কালা পাহাড়। কালা পাহাড় তাকে ছাড়া কিছুই বোঝে না। কালাকে রেখে তিনি কোথাও রাত্রি যাপনও করেন না। প্রতিদিন খাবার বাবদ তার প্রায় ৮শত টাকা খরচ হয় কালার জন্য। কালাকে ভুসি, খুদের ভাত, খেসারী ডাল, কলাইয়ের খোসা, সয়াবিনের খৈল, শুকনো খড় ও কাঁচা ঘাসের পাশাপাশি চিটাগুড় প্রতিদিন খাওয়াতে হয়। কালা পাহাড়কে টাকা দিয়ে কেনা না হলেও বড় হওয়ার পর খরচ চালাতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন । এজন্য তিনি এবার ঈদে কালাকে বিক্রির ঘোষণা দিয়েছি। কালার পরিচর্যাকারী খামারী লোকামন আরও বলেন, ছেলে মেয়েদের মত সেবা করতে হয়। চিকিৎসার জন্য সার্বক্ষণিক স্থানীয় প্রাণিসম্পদ বিভাগের সহযোগিতা নিয়েছেন। ঈদ এবং বড় গরুর কারণে প্রতিদিনই কালাকে দেখতে দূর দূরান্তসহ আশপাশের মানুষ বাড়িতে আসছেন। কালা পাহাড়কে দেখতে এলাকাবসীর পাশাপাশি, গরু ব্যবসায়ী সিপন হোসেন, মিলন চন্দ্র সহ আরো অনেকেই কেনার জন্য আসছেন। ক্রেতারা এপর্যন্ত মাত্র ১১ লাখ টাকা দাম করে গেছেন। ১৪ লাখ টাকার নীচে কালা পাহাড়কে বিক্রি না করার ইচ্ছা তিনি প্রকাশ করেন। আক্কেলপুর পৌর সভার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ রকি হোসেন বলেন, বড় গরুর কথা শুনে আমরা কালা পাহাড়কে দেখতে এসেছিলাম। আসলে আমাদের অঞ্চলে এতবড় গরু আগে দেখিনি। গরুটি দেখতে খুবই ভালো। কালাকে দেখে এবং ওর মালিক লোকমানের সাথে কথা বলে উদ্বুদ্ধ হয়েছি। সৌখিন গরু লালন পালন করা আসলেই লাভজনক। আক্কেলপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল ইসলাম বলেন, এবারের কোরবানির ঈদে উপজেলায় গরু ছাগল মিলে প্রায় ৩৫ হাজার পশু প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে উপজেলায় চাহিদা রয়েছে ২৪ হাজার। অতিরিক্ত রয়েছে ১১ হাজার পশু।