পাবনার ঈশ্বরদীতে জমজম স্পেশালাইজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ড. নাফিসা কবির এর অবহেলায় জিমু খাতুন (১৯) নামের এক মায়ের প্রসবকালে নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ করেন স্বজনেরা।
শনিবার (৮ জুন) রাত ৩টার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার হাসপাতাল রোডে অবস্থিত জমজম স্পেশালাইজ হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। জিমু খাতুন লালপুর উপজেলার দুয়ারিয়া ইউনিয়নের মাঝগ্রাম এলাকার সাইদুর রহমানের স্ত্রী। এই বিষয়ে ঈশ্বরদী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জিমুর স্বামী সাইদুর রহমান।
জিমুর পরিবার জানান, শুক্রবার রাত দশটার দিকে জিমুকে নিয়ে জমজম স্পেশালাইজ হাসপাতালে আসে। পরে ডাক্তার নাফিসা কবির রোগীকে দেখে আল্ট্রাসনো করতে বলেন। আল্ট্রাসনোর রিপোর্ট দেখে জিমুর পরিবারকে নরমালে ডেলিভারির জন্য তিন ঘন্টা অপেক্ষা করতে বলে ডাক্তার বাসায় চলে যায়। পরবর্তীতে রাত তিনটার দিকে জিমুর প্রসবের তীব্র যন্ত্রণা বেড়ে গেলে ডাক্তারকে খবর দেওয়া হয়। ডাক্তার না আসায় ক্লিনিকের স্টাফরা ডেলিভারি সম্পূর্ণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় নবজাতকটি সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে জমজম স্পেশালাইজ হাসপাতালের ডাক্তার নাফিসা কবির ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা হলে তারা গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে রাজি হয়নি।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, নবজাতক শিশুটিকে ময়না তদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঈশ্বরদীতে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে ওঠা এইসব ক্লিনিকের ডাক্তারদের অবহেলার কারণেই অনেক নবজাতকরা পৃথিবীর আলো দেখতে পারে না। অভিযোগ রয়েছে গত তিন মাস আগেও এমন ঘটনা ঘটেছিল এই হাসপাতালে। আর এই মর্মান্তিক ঘটনা কোথাও যেনো না ঘটে, এমনটাই প্রশাসনের কাছে দাবি স্থানীয়দের।
মতামত