সারাদেশ

তাড়া‌শের কামার পল্লী রা‌তেও ঘুমায় না, টুংটাং শ‌ব্দে মুখ‌রিত থা‌কে

তাড়া‌শের কামার পল্লী রা‌তেও ঘুমায় না, টুংটাং শ‌ব্দে মুখ‌রিত থা‌কে

ছবি : মুন টাইমস নিউজ


প্রকাশিত : ৮ জুন ২০২৪, বিকাল ৫:২৩

সিরাজগঞ্জের তাড়া‌শের কামার পল্লীর কা‌রিগররা ব‌্যস্ত সময় পার কর‌ছেনসিরাজগঞ্জের তাড়া‌শের কামার পল্লীর কা‌রিগররা ব‌্যস্ত সময় পার কর‌ছেন। যে‌হেতু আর ক‌য়েক‌দিন প‌রেই ঈদুল আযহা তাই ঈ‌দের চা‌হিদার কথা বি‌বেচনা ক‌রে চাপা‌তি, চাকু, ব‌টিসহ লোহার সরঞ্জাম তৈরী‌তে ব‌্যস্ত সময় কাটা‌চ্ছেন। বছ‌রের এই সময়টায় চা‌হিদা বেশী থাকায়, কামাররা ভা‌লো উপার্জন ক‌রে থা‌কেন। যে‌হেতু কোরবা‌নির পশু কাটাকা‌টি‌তে চাই চাপা‌তি, ধারা‌লো চাকু, ব‌টি। কয়লার চুলার দগদ‌গে আগু‌নে গরম লোহার পিটা‌পি‌টি‌তে টুংটাং শ‌ব্দে মুখর হ‌য়ে উঠে‌ছে তাড়াশ উপ‌জেলার কামারশালা গু‌লো।   কোরবা‌নির ঈদ এ‌লে আশায় বুক বাঁ‌ধে তারা, কারণ এসময় তা‌দের বাড়‌তি আয় হয়। কোরবা‌নির সময় পশু জবাই ও কাটাকু‌টি জন‌্য লোহার তৈরী চাকু, ব‌টি, চাপা‌তির প্রয়োজন হয়। তাই এসব জি‌নি‌সের চা‌হিদাও বে‌ড়ে যায় বহু গুন, সঙ্গত কার‌নে এইসব জি‌নিস তৈরী করার জন‌্য কামার‌দের দম ফেলার ফুসরত থা‌কে না। চাপা‌তি প্রতি পিস বি‌ক্রি হয় ৫০০ থে‌কে ৮০০ টাকা, ব‌টি ৩০০ থে‌কে ৪৫০ টাকা, ছু‌রি ১৫০ থে‌কে ২০০ টাকা। আবার কেউবা পু‌রো‌নো চাকু, বাট‌‌িতে শান দেয়ার জন‌্য কামার‌দের শরনাপন‌্য হ‌চ্ছেন। তাড়াশ উপ‌জেলার ৮ টি ইউ‌নিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় র‌য়ে‌ছে অ‌নেকগু‌লো কামারশালা।   কা‌জের ব‌্যস্ততা সম্প‌র্কে পৌর সদ‌রের মা‌নিক কামার ব‌লেন, সারা বছর খুব একটা কাজ কর্ম থা‌কেনা। ঈ‌দের এই সময়টার জন‌্য আমরা অ‌পেক্ষায় থা‌কি। কারন এই সম‌য়ে আমরা বাড়‌তি কিছু আয় ক‌রি যা দি‌য়ে সারা বছ‌রের সংসারের অন‌্য খরচ মেটাই। প্রায় সকল গ্রাহকই শেষ সময় এ‌সে চাপ দেয়, ত‌বে য‌দি তারা কিছু‌দিন আগ থে‌কে আস‌তেন তাহ‌লে আমা‌দের সু‌বি‌ধে হ‌তো। বর্তমা‌নে দি‌নে রা‌তে সমান ভা‌বে কাজ কর‌ছি, নাওয়া খাওয়ার সময়ও পা‌চ্ছি না! তারপ‌রও প‌রিবা‌রের কথা চিন্তা ক‌রে ঈ‌দের আ‌গের রাত পর্যন্ত এভা‌বে কাজ ক‌রে যাব।