বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবনে শনিবার ০১ জুন থেকে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সবধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে বনবিভাগ।
সুন্দরবনের অভ্যন্তরের বিভিন্ন খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার রোধ এবং বিভিন্ন প্রজাতির মাছের নিরাপদ প্রজনন ও সংরক্ষনের লক্ষ্যে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ সময়ে বনজীবী, সাধারণ জনগণ ও পর্যটক বনে প্রবেশ করতে পারবেন না।
বন বিভাগের তথ্য মতে, পূর্ব-সুন্দরবনে ২লাখ ৩৪হাজার ১৪৭ বর্গ কিলোমিটার বনভূমির মধ্য দিয়ে ভোলা, বলেশ্বর, শ্যালা, পশুর নদী সহ ১৩টি নদ-নদী ও ২৫০টি ছোট-বড় খাল প্রবাহিত হয়েছে। এ সব নদী ও খালে ২১০ প্রজাতির সাদা মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ী, ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া পাওয় যায়। এ ছাড়া বিলুপ্ত প্রজাতির ইরাবতীসহ ছয় প্রজাতির ডলফিন পাওয়া যায়।
বনের মৎস্য ও অন্য জলজ প্রাণীর নিরাপদ প্রজনন ও সংরক্ষণের জন্য সুন্দরবনে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সমন্বিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছরের ০১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দুই মাস সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ থাকতো। পরে ২০২২ সালে নিষেধাজ্ঞা এক মাস বাড়িয়ে ০১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে। খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার জানান, নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে জেলে, বাওয়ালী ও মৌয়ালদের পাসও বন্ধ থাকবে। অবাঞ্ছিত কেউ বনে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য বনবিভাগ সদা সতর্ক অবস্থানে থাকবে।
তবে, বিকল্প কর্মসংস্থান না করে সুন্দরবনে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করায় জেলেদের জীবন-জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন:
ঠাকুরগাঁওয়ে ঝড়ে লন্ডভন্ড ২০ গ্রাম নিহত-৩
মুন টাইমস নিউজের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে Google News অনুসরণ করুন
মতামত