ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলায় এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। সঠিক সময়ে সরকারের প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় নতুন জাতের বীজ ও সার পাওয়ায়, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং মাঠ পর্যায়ে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নতুন জাত আবাদে কৃষকদেরকে ঊঠান বৈঠক, মাঠ দিবসের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধকরণের ফলে কৃষক উৎসাহিত হয়ে বোরো মৌসুমে নতুন জাতের আবাদ করেন। ফলে বিজয়নগর উপজেলায় এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়।
পাহাড়পুর ইউনিয়নের সহদেবপুর গ্রামের কৃষক খলিল মিয়া জানান এ বছর কৃষি বিভাগের উপসহকারী কৃষি অফিসার সবুজ হুসাইন ও উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মোহাঃ নুরে আলম এর পরামর্শক্রমে বিনা ধান-২৫ জাতের ১ বিঘা, ব্রি ধান ৯৬ জাতের ১২ বিঘা ধান আবাদ করেন এবং তার হেঃ প্রতি ফলন হয় ৪.৬২ মে: টন(চাউলে)। তিনি আরো জানান নতুন জাত আবাদের ফলে তার ধানের জমিতে পোকা ও রোগবালাই এর আক্রমণ খুবই কম ছিল। তাছাড়া উপসহকারী কৃষি অফিসার ও উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার বিভিন্ন সময়ে এসে আমাদেরকে ধানের পরিচর্যা বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন ।
উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মোহাঃ নুরে আলম জানান এ বছর বিজয়নগর উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বোরো আবাদ শুরুর আগে বিভিন্ন ইউনিয়নে কর্মরত উপসহকারী কৃষি অফিসারদের সাথে নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদেরকে উঠান বৈঠক, মাঠ দিবস ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নতুন জাত যেমন: বিনা ধান-২৫, ব্রি ধান-৮৮, ব্রি ধান-৮৯, ব্রি ধান-৯২, ব্রি ধান-৯৬, ব্রি ধান-১০০, ব্রি ধান-১০৪ ইত্যাদি আবাদের জন্য কৃষকদেরকে উৎসাহিত করি। তারা আমাদের কথায় উৎসাহিত হয়ে নতুন জাত আবাদ করেন। তাছাড়া নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে কৃষকদেরকে সঠিক পরিচর্যা বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাব্বির আহমেদ জানান এবছর বিজয়নগর উপজেলায় ১৩৫৯০হেঃ জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে তার মধ্যে নতুন জাতের আবাদ হয়েছে ৭৪৮০ হে:। মোট ফলন হয়েছে ৫৮৬০১ মে.টন (চাউলে) যা গত বছরের চেয়ে ৮৪৩ মে.টন বেশী। আমরা নতুন জাত আবাদে বিভিন্ন সময়ে প্রশিক্ষণ, উঠান বৈঠক, মাঠ দিবসের মাধ্যমে কৃষকদেরকে উৎসাহিত করি। তাছাড়া প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় সঠিক সময়ে সার এবং নতুন জাতের বীজ কৃষকের মাঝে বিতরণ করা, নিয়মিত মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি অফিসারগণ কৃষকের পাশে থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান ও প্রকৃতি কৃষকের অনুকুলে থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী অর্জন সম্ভব হয়েছে। নতুন জাত আবাদের ফলে পোকা ও রোগ বালাইয়ের আক্রমণ কম হওয়া কৃষক অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হয়েছেন।
মুন টাইমস নিউজের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে Google News অনুসরণ করুন
মতামত