সারাদেশ

নান্দাইলে গভীর নলকূপে দেখা মিলল গ্যাসের সন্ধান

নান্দাইলে গভীর নলকূপে দেখা মিলল গ্যাসের সন্ধান

ছবি : মুন টাইমস নিউজ


প্রকাশিত : ২৩ মে ২০২৪, সন্ধ্যা ৮:৩০

ময়মনসিংহের নান্দাইলে গভীর নলকূপে প্রাকৃতি গ্যাসে সন্ধান পাওয়া গেছে। গত দুই দিন ধরে গভীর নলকূপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়ায় এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। গ্যাসের সন্ধানের খবর ছড়িয়ে পড়লে পড়লে আশে পাশের উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। উপজেলার মুশুল্লি ইউনিয়নের কিসতমত রসুলপুর গ্রামের মৃত নুরুল আমিনের স্ত্রী মোছা. পারভীন খাতুনের নলকূপে এমটা দেখা গেছে। জানা গেছে, মোছা.পারভীন খাতুন গত তিন বছর আগে বাড়িতে একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করেন। নলকূপ স্থাপনের পর থেকে পানি তোলার সময় হালকা বুদ বুদ শব্দ করতো। এ নিয়ে পারভীন খাতুন তেমন গুরুত্ব দেয়নি। গত দুদিন আগে নলকূপের মধ্যে বুদ বুদ শব্দ শুনে কৌতুহল বশত পারভীনে বড় ছেলে পলাশ মিয়া নলকূপের পাইপে দিয়াশলাইয়ের কাটি দিয়ে আগুন দেয় এতে দাউ দাউ আগুন জ্বলে উঠে। দিনের বেলায় সূর্যের আলোতে গ্যাসের আগুন বেশি দেখা না গেলেও রাতের অন্ধকারে দাউ দাউ করে জ্বলন্ত আগুন দেখা যায়। বিষয়টি স্থানীয়রা জেনে নান্দাইল থানার পুলিশ কে খবর দেয় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এতাছাড়াও নান্দাইল উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত আবুল কায়সার তালুকাদার ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে মুশুল্লি ইউনিয়নের কিসমত রসুলপুর গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- গভীর নলকূপের পাশে একটি পাইপ লাগানো রয়েছে। পাইপ দিয়ে বুদ বুদ শব্দ শোনা যাচ্ছে। তার পাশে উৎসুক জনতা ভীড় জমিয়ে রয়েছে। নান্দাইলের গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে খবরে মানুষজন দেখতে এসেছে। প্রতিবেদন আসছে শুনে নলকূপের মালিক মো. পারভীন খাতুন এগিয়ে এসে বিস্তারিত জানান। নলকূপের মালিক মোছা. পারভীন খাতুন বলেন- তিন বছর আগে পানি খাওয়ার জন্য গভীর নলকূপ দিয়েছি। নলকূপ দেওয়ার পর থেকেই বুদ বুদ শব্দ শুনতাম তেমন পাত্তা দেইনি। গত দুদিন আগে ছেলে দিয়াশলাই কাটি দিয়ে আগুন দিলে গ্যাসের আগুন জ্বলে উঠে। খবর শুনে মানুষজন ভীড় করছে প্রতিদিন। আমার মনে হচ্ছে নলকূপে যা দেখা যাচ্ছে তা গ্যাসেই। নান্দাইল উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত আবুল কায়সার তালুকাদার বলেন- নলকূপের গ্যাসের সন্ধানের খবর পেয়ে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি। সেখানে গ্যাসের চাপ আছে, তবে দক্ষ লোক না থাকায় বিষয়টি বলতে পারছি না। খনিজ ও জ্বালানি সম্পদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের বিষয়টি জানাবো। নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অরুণ কৃষ্ণ পাল বলেন- বিষয়টি আমি শুনেছি। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীকে পাঠিয়েছি। উনি বিষয়টি সরেজমিনে দেখে শুনে জেলার সাথে যোগাযোগ করে আমাকে জানাবে।