সারাদেশ

নাইক্ষ্যংছড়িতে জামায়াত নেতার পূজা মন্ডপ পরিদর্শন ও সম্প্রীতির বার্তা

নাইক্ষ্যংছড়িতে জামায়াত নেতার পূজা মন্ডপ পরিদর্শন ও সম্প্রীতির বার্তা

প্রকাশিত : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, রাত ১১:৫৬

বান্দরবান জেলা জমায়াতে ইসলামীর আমীর জনাব এস এম আব্দুস সালাম আজাদ নাইক্ষ্যংছড়িতে দুর্গা পূজা উপলক্ষে শ্রী শ্রী হরি মন্দির পরিদর্শন করেন। 

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের পূজা উদযাপনের সার্বিক অবস্থা খোঁজ নেন এবং তাদের পাশে থাকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দেন।

এসময় তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সকল বিভাজন প্রতিহত করার এবং সম্প্রীতির বার্তা প্রেরণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন তাকে পেয়ে অত্যন্ত আনন্দ প্রকাশ করেন এবং আন্তরিকতার সঙ্গে শুভেচ্ছা জানান।

জমায়াতের জেলা আমীর এস এম আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, আমরা সবাই একসঙ্গে এই দেশকে ভালোবাসি এবং ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একে অপরের পাশে থাকবো। কেউ যদি এই সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করে, আমরা তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে হিন্দু-মুসলিম মিলে মিশে বসবাস করি, যা বিশ্বের অনেক জায়গায় বিরল। হিন্দু ভাইদের অনুরোধ, দেশে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টির চেষ্টা কারীদের দিকে সজাগ থাকবেন যেন কোনো অপশক্তি আমাদের শান্তি নষ্ট করতে না পারে।

জমায়াত নেতারা দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, মন্দির, গির্জাসহ সকল উপাসনালয়ের নিরাপত্তা বিষয়ে আশ্বাস দেন এবং বলেন, এই দেশ আপনাদের, আমাদের সবার। দেশকে ভালো রাখতে আমাদের সবার দায়িত্ব রয়েছে। জামায়াত বিশ্বাস করে, ধর্মীয় সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাই মিলে একটি স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। এই ক্ষেত্রে হিন্দু সমাজের ভূমিকা অপরিসীম।

পরিদর্শনের সময় জেলার সঙ্গে উপজেলার বিভিন্ন জামায়াত নেতারা উপস্থিত ছিলেন, যেমন— উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা ওমর ফারুক সিরাজী, উপজেলা সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবু নাসের, জেলা শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি রফিক আহমেদ, উপজেলা শ্রমিক কল্যানের সভাপতি বাবুল হোসেন, উপজেলা সহ-সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুতাহেরুল হক, সাবেক সেক্রেটারি ও সাংবাদিক মাহামুদুল হক বাহাদুর, উপজেলা ব্যবসায়ী ফোরামের সভাপতি জাকের আহমদ, সদর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাস্টার আব্দুল গফুর, বাইশারী ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মোহাম্মদ সলিম উল্লাহ, শিবির সভাপতি হাফেজ এরশাদ উল্লাহসহ সাংবাদিক ও স্থানীয় জামায়াত নেতৃবৃন্দ।