সারাদেশ

নড়াইলে অবাধে শামুক-ঝিনুক আহরণ, হুমকির মুখে জীববৈচিত্র্য

নড়াইলে অবাধে শামুক-ঝিনুক আহরণ, হুমকির মুখে জীববৈচিত্র্য

প্রকাশিত : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বিকাল ৩:১৩

পরিবেশ অধিদপ্তরের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নড়াইল জেলার খাল-বিলসহ বিভিন্ন জলাশয় থেকে প্রতিদিন অবাধে শামুক-ঝিনুক আহরণ করা হচ্ছে। এসব শামুক-ঝিনুক মূলত দক্ষিণাঞ্চলের চিংড়ি ঘেরে সরবরাহ করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার প্রায় ৪০টি বিল ও জলাশয় থেকে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ শামুক সংগ্রহ করা হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সদর, লোহাগড়া ও কালিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে দরিদ্র মানুষজন ডিঙি নৌকা ও তালের ডোঙা ব্যবহার করে শামুক সংগ্রহ করেন। পরে খোলস থেকে মাংস ও ঘিলু বের করে কেজি প্রতি ২৫ টাকায় ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। অনেক পরিবার দিন শেষে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা আয় করছেন। তবে শামুকের খোলস অন্যত্র বিক্রি হয়ে চুন তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে।

স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, শামুক আহরণ এখন তাদের জীবিকার অন্যতম প্রধান উৎস। তবে জীববিজ্ঞানীরা বলছেন, এভাবে নির্বিচারে শামুক-ঝিনুক আহরণ জলজ পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করছে। নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও জীববিজ্ঞান বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপক বরুণ মজুমদার জানান, শামুক-ঝিনুক পানির মান রক্ষা, বালুচর গঠন এবং জমির স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই অবিলম্বে এই আহরণ বন্ধ করা জরুরি।

এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদরুল আলম জানান, পরিবেশ অধিদপ্তর জলাশয় থেকে শামুক-ঝিনুক আহরণ নিষিদ্ধ করেছে। তবুও এক শ্রেণির ব্যবসায়ী ও ঘেরমালিকরা তা অব্যাহত রেখেছেন। তিনি দাবি করেন, শামুক আহরণের বিষয়ে চিংড়ি ঘেরমালিকদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।