নড়াইলের ঘনবসতিপূর্ণ সীতারামপুর এলাকায় তৈরি হয়েছে পৌরসভার ময়লার ভাগাড়। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। শ্বাসকষ্ট ও নানা দুর্ভোগের কারণে এলাকাবাসী ভাগাড় সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন।
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে ‘ক্লিন নড়াইল, ড্রিম নড়াইল’ প্রকল্প চালু করে পৌরসভা। এর দায়িত্ব পায় বেসরকারি সংস্থা বি আই আর ডি। ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। শুরুতে বাস টার্মিনালের সামনের গর্তে ময়লা ফেলা হলেও পরবর্তীতে জমি অধিগ্রহণ করে নড়াইল-যশোর সড়কের সীতারামপুর সেতুর পশ্চিম পাশে ভাগাড় গড়ে তোলা হয়।
কিন্তু ওই এলাকায় ভাগাড় নির্মাণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রামবাসী। সেতুর পশ্চিমে ময়লার দুর্গন্ধ আর পূর্বে শুকরের মলমূত্রের দুর্গন্ধে কৃষি জমি ও মাছের ঘেরের কাজ প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ— দুর্গন্ধের কারণে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, খাল-বিলে মাছ মারা যাচ্ছে, এমনকি গ্রামীণ পরিবেশে বসবাস করাও দুষ্কর হয়ে উঠেছে।
সীতারামপুর গ্রামের প্রবীণ মনোরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, যারা এখানে ময়লার ভাগাড়ের অনুমতি দিয়েছেন তারা হয়তো সরেজমিন আসেননি। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ভাগাড় দেওয়া অমানবিক সিদ্ধান্ত।
মুলিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য অজিত কবিরাজ অভিযোগ করে বলেন, ভাগাড় নির্মাণে ইউনিয়ন পরিষদের কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। এতে কৃষক ও মৎস্যচাষীদের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। অবিলম্বে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হোক।
অন্যদিকে নড়াইল পৌর প্রশাসক জুলিয়া সুকায়না জানান, এ বিষয়ে এলাকাবাসী বা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোনো আবেদন আসেনি। আবেদন এলে এবং অর্থ বরাদ্দ পেলে অন্যত্র ভাগাড় সরানোর বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।
মতামত