সারাদেশ

পরিবারের স্বপ্ন, নিজের চেষ্টা—ইরাকে উচ্চশিক্ষায় পা রাখলেন আহসান উল্লাহ

পরিবারের স্বপ্ন, নিজের চেষ্টা—ইরাকে উচ্চশিক্ষায় পা রাখলেন আহসান উল্লাহ

প্রকাশিত : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, দুপুর ১২:৫৩

ছাত্রজীবন মানেই সংগ্রাম, সাধনা আর স্বপ্নপূরণের নিরন্তর চেষ্টা। এমনই একজন মেধাবী ও মননশীল শিক্ষার্থী আহসান উল্লাহ, যিনি নরসিংদী জেলা থেকে উঠে এসে কেবল আলিম পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন করেই থেমে থাকেননি। এবার তিনি জায়গা করে নিয়েছেন ইরাকের স্বনামধন্য আনবার বিশ্ববিদ্যালয়ে, শুরু করেছেন উচ্চশিক্ষার নতুন যাত্রা।

বর্তমানে আহসান নরসিংদীর জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদ্রাসার ফাজিল ১ম বর্ষে অধ্যয়নরত। এর আগে ২০২৪ সালে একই প্রতিষ্ঠান থেকে আলিম পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। একটি সাধারণ পরিবারের সন্তান হয়েও তার চোখে ছিল অসাধারণ স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন পূরণের পথে অসংখ্য সীমাবদ্ধতা ও বাধা সত্ত্বেও তিনি থেমে যাননি। মায়ের দোয়া, শিক্ষকদের উৎসাহ আর নিজের অদম্য ইচ্ছাশক্তি তাকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।

ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক আরবি ভাষায় দক্ষতা অর্জনে তিনি অংশ নেন মিশরের কায়রো থেকে পরিচালিত আন্তর্জাতিক মানের একটি অনলাইন কোর্সে, যা আয়োজন করে মারকায সওতুল ইসলাম। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ড. শিহাব উদ্দিন আল-আজহারীর সরাসরি দিকনির্দেশনায় আহসান বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করেন। ধীরে ধীরে সেই আবেদনই তার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়।

নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে আহসান উল্লাহ বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল একজন দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার হওয়া। প্রযুক্তি, উদ্ভাবন আর আধুনিক জ্ঞানের জগৎ সবসময় আমাকে টেনেছে। আমি বিশ্বাস করি, ইসলামি মূল্যবোধ ও আধুনিক বিজ্ঞান মিলিয়েই একটি উন্নত সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। আর আনবার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা সেই স্বপ্নপূরণের প্রথম ধাপ।

তিনি আরও বলেন, যেদিন স্কলারশিপ পাওয়ার খবর নিশ্চিত হল, তখন মনে হচ্ছিল এতদূর কি সত্যিই আমি এসে গেছি? পরিবারের কষ্ট, শিক্ষকদের উৎসাহ আর আল্লাহর দয়ার কথা মনে হচ্ছিল বারবার।

এই অর্জনের পেছনে পরিবার, শিক্ষক এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আহসান উল্লাহ। তিনি ভবিষ্যতে দ্বীন ও দুনিয়ার জ্ঞানকে সমন্বয় করে দেশের কল্যাণে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন, যেন তার মতো আরও অনেক তরুণ স্বপ্ন দেখে এবং সাহস নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে।