ছবি : সংগৃহীত
রাজধানী ঢাকায় সোমবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে টানা বৃষ্টি। ভোর পৌনে ছয়টার দিকে শুরু হওয়া মুষলধারে বৃষ্টি চলে সকাল সাতটা পর্যন্ত। এর আগে রাতজুড়েই থেমে থেমে ঝরেছিল বৃষ্টি।
অবিরাম বৃষ্টিতে রাজধানীর অধিকাংশ সড়কে পানি জমে যায়। হাঁটুপানি থেকে শুরু করে কোথাও কোমরসমান পানি থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন পথচারী ও অফিসগামী মানুষ।
সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, কলাবাগান, কারওয়ান বাজার, গ্রিনরোড, নিউমার্কেট, আসাদগেট, জিগাতলাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় রাস্তায় পানি জমে থাকতে দেখা যায়।
অফিসে যাওয়ার পথে গ্রিনরোডে হাঁটুপানি পেরিয়ে আসতে হয়েছে চাকরিজীবী শামীমা নাসরিনকে। পশ্চিম তেজতুরী বাজার এলাকায় রিকশার পাদানি পর্যন্ত পানি উঠে গেছে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে, ফকিরাপুল, কাকরাইল, মালিবাগ, রাজারবাগ ও মতিঝিলের সড়কে কোমরসমান পানির মধ্যে দিয়েই কর্মস্থলে যেতে হয়েছে শিপন আহম্মেদ নামের এক বেসরকারি চাকরিজীবীকে।
রাতের শিফট শেষে সকালে বাড়ি ফেরার পথে এস এম জারিফ জানান, জিগাতলা, গ্রিনরোড ও নিউমার্কেট এলাকায়ও পানি জমে ছিল। তিনি বলেন, স্কুলগামী অনেক শিশু ভিজে গেছে। অনেক অভিভাবককে সন্তানকে কোলে নিয়ে হেঁটে যেতে দেখা গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ঢাকায় ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির আভাসও দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, সম্ভবত লঘুচাপ ইতিমধ্যেই সৃষ্টি হয়ে গেছে। এর প্রভাবেই শুধু ঢাকায় নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টির মাত্রা বেশি।
প্রকৃতির এই অস্বাভাবিক পরিবর্তন নিয়ে তিনি বলেন, আজ উত্তর বঙ্গোপসাগরে এবং আগামী বুধবার পূর্ব বঙ্গোপসাগরে আরও একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। টানা দুই লঘুচাপ খুব অস্বাভাবিক না হলেও এর কারণে উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে।
রবিবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি সোমবার সকাল নাগাদ কিছুটা কমলেও সারাদিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থেকে হালকা বা মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলেও জানান তিনি।
এর আগে কয়েক দিন ধরেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরম বিরাজ করছিল। গত শনিবার ও রবিবার ঢাকার আকাশ ছিল ঘোলাটে। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর আগেই জানিয়েছিল—আজ থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে।
মতামত