ছাত্রলীগ সম্পাদকের পাতে বাসি খাবার, রেস্তোরা বন্ধ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে অবস্থিত ঢাকা বিরিয়ানি হাউজে পঁচা ও বাসি খাবার বিক্রয় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়। বুধবার ওই দোকানে দুপুরের খাবার খেতে গেলে তার পাতে বাসি খাবার দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তার। এ ঘটনায় বিকাল সাড়ে চারটায় দোকানটি সিলগালা করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি।

জানা যায়, বুধবার দুপুরে শাখা ছাত্রলীগের সম্পাদক ওই দোকানে খাবার খেতে গেলে তার পাতে বাসি রোস্ট দেওয়া হয়। পরবর্তীতে দোকানের কর্মচারীরা বিষয়টি স্বীকারও করেন। পরে ছাত্রলীগ সম্পাদক বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবগত করলে প্রক্টরিয়াল বডি এসে দোকানটি বন্ধ করে দেয়। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিংহভাগ দোকানেই এমন পঁচা বাসি খাবার খাওয়ানো হয় বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। কর্তৃপক্ষের যথাযথ তদারকির অভাবেই এমন ঘটনা ঘটছে বলে দাবি তাদের। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্টদের এসব বিষয়ে গুরুত্বসহকারে তদারকির আহ্বান জানান তারা। শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, ওই দোকানে দুপুরে খাবার খেতে গিয়েছিলাম। বিরিয়ানি ও রোস্ট দেওয়ার পর খেতে অস্বস্তি ও বাসি মনে হচ্ছিল। এ বিষয়টি প্রথমে দোকানি অস্বীকার করলেও পরে বাসি খাবার বলে স্বীকার করেছেন। আমি এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে প্রতিনিয়ত এসব বাসি ও পঁচা খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। তাছাড়া আমার কাছে ক্যাম্পাসের কোনো দোকানের খাবার পুষ্টিকর ও মানসম্মত মনে হয় না। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তদারকি করার দাবি জানাচ্ছি। দোকানের মালিক মহন মিয়া বলেন, আমি দোকানে ছিলাম না। স্টাফরা জয় ভাইকে যে খাবার দিয়েছিল সেটা বাসি ছিল। মূলত স্টাফরা ভুল করে এ খাবার দিয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা কিছুই জানতাম না। সহকারী প্রক্টর ইয়ামিন মাসুম বলেন, ওই দোকানের বিষয়ে বিভিন্ন সময় প্রক্টরিয়াল বডি অনেক অভিযোগ পেয়েছে। এই অভিযোগ পেয়ে আমরা সেখানে গিয়ে শিক্ষার্থীরাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে দোকানটি সাময়িক বন্ধ করে দিই। পরবর্তীতে দোকান কর্তৃপক্ষের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বসবে। যদি তারা এ বিষয়ে কোন যৌক্তিক বিষয় তুলে পারে তাহলে দোকান আবার পুনরায় খোলার অনুমতি দেওয়া হবে। আরও পড়ুন: রাবিতে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, চার নেতা বহিষ্কার  

মুন টাইমস নিউজের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে Google News অনুসরণ করুন