সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের হয়রানির শিকার হয়ে গাইবান্ধায় একাই দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেছেন আবু তাহের নামে এক ব্যক্তি। শুক্রবার দুপুরে তিনি প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে শহরের গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (গানাসাস) চত্বরে অবস্থান নেন। তাঁর হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল— ব্যাংক কর্মকর্তার কারণে আমি হয়রানির শিকার।
আবু তাহের জানান, তিনি আল-আমীর ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করতেন। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মো. আমিনুল হক তাঁর নামে ঢাকার মতিঝিল শাখায় একটি ব্যাংক একাউন্ট খোলেন। ২০২২ সালের ৬ জুলাই সেই একাউন্টে গাইবান্ধা শাখা থেকে তিন কোটি ২৫ লাখ টাকা জমা হয়। পরবর্তীতে মালিকের নির্দেশে বেশিরভাগ টাকা স্থানান্তর করলেও বাকি টাকার বিষয়ে সন্দেহ হলে তিনি নিরাপত্তার স্বার্থে ৮৫ লাখ টাকা সরিয়ে রাখেন এবং ১৫ লাখ টাকা একাউন্টে রাখেন।
কিছুদিন পর পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে এবং জানা যায়, ব্যাংকের একটি ডিজিটাল ভুলের কারণে টাকা ওই একাউন্টে জমা হয়েছিল। এ সময় তাঁর মালিক বিদেশে পালিয়ে যান। তিনি সাত মাস জেল খাটেন। জেলে থাকা অবস্থায় তাঁর পরিবার নগদ ও চেকের মাধ্যমে ব্যাংকে তিন কোটি ৩২ লাখ ৮০ হাজার টাকা জমা দেন, যা ব্যাংকের দাবি থেকেও ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা বেশি।
আবু তাহের অভিযোগ করেন, জামিনে মুক্ত হওয়ার পর ব্যাংক কর্মকর্তারা দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিলেও এক বছরেরও বেশি সময় ধরে মামলা প্রত্যাহার এবং অতিরিক্ত জমা দেওয়া টাকা ফেরত দিতে গড়িমসি করছেন। এতে তিনি চাকরি হারিয়েছেন, আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং অসুস্থ শরীর নিয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
তিনি দাবি জানান, ব্যাংক কর্তৃক দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, অতিরিক্ত জমা দেওয়া সাত লাখ ৮০ হাজার টাকা ফেরত এবং তাঁর একাউন্ট পুনরায় সচল করার জন্য।
এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংক গাইবান্ধা শাখার ম্যানেজার ফজলে এলাহীর ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
মতামত