আন্তর্জাতিক

গণমাধ্যমে প্রথমবার মুখ খুললেন নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি

গণমাধ্যমে প্রথমবার মুখ খুললেন নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি

ছবি : সংগৃহীত


প্রকাশিত : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সকাল ১১:১৩

নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবার গণমাধ্যমে মুখ খুললেন সুশীলা কার্কি। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, দুর্নীতি তদন্ত, জেন জি আন্দোলনের সময়কার সহিংসতার বিচার এবং মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ নিয়ে খোলামেলা মতামত দিয়েছেন।

কার্কি জানান, আগামী বছরের ৫ মার্চ ভোটের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তিনি বলেন, সময়মতো সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন বড় চ্যালেঞ্জ হলেও প্রতিদিন ১৮ ঘণ্টা কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন। তার ভাষায়, ছয় মাসের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা সম্ভব। আমি দায়িত্ব শেষ করে নির্বাচন কমিশনের হাতে ক্ষমতা বুঝিয়ে দিয়ে সরে যেতে চাই।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্তে একটি বিশেষ কমিশন গঠনের পরিকল্পনার কথাও জানান অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী। তার বক্তব্য, প্রথমেই ১০-১১ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করব। দুর্নীতির রূপ ও আকার বুঝতে তদন্ত শুরু করতে হবে। তদন্ত ছাড়া এই জাতি শান্তি পাবে না। আমরা এ কাজ শুরু করব, পরবর্তী সরকার সেটি এগিয়ে নেবে।

জেন জি আন্দোলনের সময় প্রাণহানি ও সম্পত্তি ধ্বংসের ঘটনাগুলোর তদন্তে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠনের উদ্যোগও নিয়েছে সরকার। কার্কির মতে, এই তদন্ত সর্বোচ্চ দেড় মাসে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

মন্ত্রীসভার সম্প্রসারণ প্রসঙ্গে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলের নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দল থেকে প্রতিনিধি নেওয়ার প্রস্তাব দিলেও তিনি চান স্বতন্ত্র, অরাজনৈতিক এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে। আদিবাসী, দলিত, নারী ও অনগ্রসর শ্রেণি থেকে সদস্য আনতে চাই। নির্বাচনের আগে যেন মন্ত্রিসভা রাজনৈতিক সুবিধা না নেয়, সেটিই মূল লক্ষ্য।

তবে জেন জি আন্দোলনের একটি অংশ ইতিমধ্যেই নতুন সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। 

এ প্রসঙ্গে কার্কি বলেন, আমরা তো পদ চাইনি। ছাত্রদের হত্যার পর আমরা মনঃক্ষুণ্ণ হয়ে দুর্নীতি আর সুশাসনের অভাব দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। সব দাবি হয়তো পূরণ করতে পারব না, তবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।