সারাদেশ

মাজার ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ফকির সাধু ও বাউলশিল্পী সংস্থার

মাজার ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ফকির সাধু ও বাউলশিল্পী সংস্থার

প্রকাশিত : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, দুপুর ১:৩৭

সারা বাংলাদেশে গত এক বছরে দেড় শতাধিক মাজার শরীফ, খানকা শরীফ ও দরবার শরীফে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগসহ বাড়ী-ঘর লুটপাটের মত জঘন্য কার্যক্রম বাঁধাহীনভাবে সংগঠিত হয়েছে।অথচ প্রশাসন ও সরকার নিরব ভূমিকা পালন করেছে এবং ঘটনার মূল হোতাদের এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি, মর্মে বক্তব্যর মধ্যে দিয়ে পাবনা জেলা ফকির সাধু ও বাউলশিল্পী সংস্থার আয়োজনে পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টায় এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচি সংগঠন এর সভাপতি ফকির মোঃ শাহ্ আবুল হাসান চিশতি'র সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, জেলা সংগঠন এর নেতৃবৃন্দ এবং মোঃ মোকাররম হোসেন, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, ফজলে এলাহি, পীর আব্দুল কুদ্দুস, মোঃ কালু শেখ,চমক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক, ফকির সাধু ও বাউলশিল্পী সংস্থার উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর হাসান পাভেল সহ দরবার ও মাজারের সকল তরিকাপন্থি ভক্তবৃন্দ এবং অন্যান্য সংগঠনের সদস্য বৃন্দ।

মানববন্ধন কর্মসূচি তে আলোচনায় বক্তাগণ বলেন, গত ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটির নামে এক দল উগ্রবাদী সন্ত্রাসী নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলা দরবার শরীফে হামলা চালায়। এমনকি কবর থেকে তাঁর মৃত দেহ তুলে পুড়িয়ে ফেলে। আমরা মনে করি, এই জঘন্য কার্যক্রম ফৌজদারী অপরাধই শুধু নয়, যা ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধেরও পরিপন্থি। তারপর বেশকিছু দাবি পেশ করেন মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে দাবিগুলো নিম্নরুপ

১। নূরাল পাগলার মাজার শরীফ ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট সহ মৃত দেহের উপরে ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং ফাঁসি চাই।

২। দরবার শরীফ, মাজার শরীফ ভাংচুর ও লুটপাট বন্ধ করতে হবে।

৩। অতীতে যে সমস্ত মাজার শরীফ, দরবার শরীফ, বাড়ীঘর লুটপাট ও ভাংচুর করা হয়েছে তার যথাযথঃ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

৪। সাধু ফকির ও বাউল শিল্পীদের চুল কাটা সহ অন্যান্য অমানবিক অত্যাচার বন্ধ কর করতে হবে।

৫। মাজারপন্থী ও তরীকাপন্থীদের নীতিগত ধর্মঅধিকারের নিশ্চয়তা দিতে হবে।

৬। মাজার শরীফ, দরবার শরীফ ভাংচুর অগ্নিসংযোগকারীদের অতিসত্বর গ্রেফতার ও সু-বিচারের মাধ্যমে জেল এবং ফাঁসি দিতে হবে।

৭। সুফিবাদ ও বাউল সাধুদের ধর্ম প্রতিষ্ঠান সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিতে হবে।

৮। হতদরিদ্র ফকির বাউল শিল্পী বাদ্যকারদের সরকারি প্রণোদনাসহ সরকারি ভাবে বাউল ভাতা দিতে হবে।

৯। ধর্মপ্রতিষ্ঠান উন্নয়ন ও সাংস্কৃতিক চর্চার ক্ষেত্রে সরকারি প্রকল্পের আওতায় আনতে হবে।

১০। সারা বাংলাদেশের মাজার শরীফ, দরবার শরীফ, খানকা শরীফ ও শিল্পী সংস্থার সরকারি রেজিষ্ট্রেশন ভূক্ত করতে হবে।

মানববন্ধন শেষে এসকল দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি পাবনা জেলা প্রশাসক বরাবর প্রদান করা হয়।