রংপুর

চিলাহাটিতে সীমান্তপাড়া খাল সমবায় সমিতির অফিস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

চিলাহাটিতে সীমান্তপাড়া খাল সমবায় সমিতির অফিস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

ছবি : মুন টাইমস


প্রকাশিত : ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সন্ধ্যা ৭:২৩

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের সীমান্তপাড়া খাল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির অফিস ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের (২য় পর্যায়, ২য় সংশোধিত) আওতায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই লে-আউট প্রদান করা হয়। এর মাধ্যমে সমবায় সমিতির কার্যক্রমের নতুন অধ্যায় সূচিত হলো।

উক্ত প্রকল্পের মূল লক্ষ্য কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা।

লে-আউট প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেক। এসময় উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ফিরোজ হাসান, উপজেলা প্রকৌশলী ফিরোজ আলম, ভোগডাবুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রেয়াজুল ইসলাম কালু, কিউসিই রংপুরের জাহাঙ্গীর আলম, আইডিএস রংপুরের শফিকুল ইসলাম, মৎস্য ফ্যাসিলিটেটর ও সোসিওলজিস্ট (অঃদাঃ) মনিরুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী মোহিতুর রহমান চৌধুরী, উপ-সহকারী প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমান, ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক, রবিউল ইসলাম শাহ্, মিজানুর রহমান (মিজান) এবং স্থানীয় সাংবাদিক রবিউল ইসলামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সীমান্তপাড়া খাল বহু বছর ধরে কৃষকদের সেচ সুবিধা প্রদান করে আসছে। কিন্তু অবকাঠামোগত দুর্বলতা ও পরিকল্পনার ঘাটতির কারণে এর সর্বোচ্চ ব্যবহার সম্ভব হয়নি। নতুন অফিস ভবন নির্মাণের পাশাপাশি প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর পানি ব্যবস্থাপনা চালু হবে, যা কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নয়নে সহায়ক হবে।

ভোগডাবুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেয়াজুল ইসলাম কালু বলেন, “প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সীমান্তপাড়ার কৃষকদের সেচ সমস্যা দূর হবে। ফসল উৎপাদন বাড়বে এবং কৃষকদের জীবন-জীবিকা আরও সমৃদ্ধ হবে।”

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা। এর মাধ্যমে কৃষি খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে বলেও তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সময়োপযোগী এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নে তারা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।