গত শনিবার (১৪ জুন ) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার তালম ইউনিয়নের সাহেব বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, তালম সাহেব বাজার দক্ষিণপাড়ার মো তোকাব্বর হোসেনের ছেলে মোহাম্মাদ আলী (৪০), তালম আদার পাড়া গ্রামের মো নওশের আলীর ছেলে মো মাহাবুল হোসেন (৩০)। সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে মোহাম্মাদ আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতরা বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। অভিযুক্তরা হলেন—একই গ্রামের মো আবু তালেব (৪০) ,পিতা মৃত চাঁদ আলী, মো নজরুল ইসলাম (৪২), পিতা মো পরশ উল্লাহ, মো সেরাজ আলী (৫৫) ,পিতা মৃত কমল, মো রাব্বানী (৩৫), পিতা মো সেরাজ আলী, মো নুরুজ্জামান (৩০), পিতা মো সেরাজ আলী, মো রবিউল ইসলাম (৪০), পিতা মো পরশ উল্লাহ, মো সামিউল ইসলাম (২৫), পিতা মো নজরুল ইসলামসহ তাদের নেতৃত্বে ১০থেকে ১৫জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, তালম আদার পাড়া অবস্থিত নিমগাছী সমাজ ভিত্তিক মৎস্যচাষ প্রকল্পের আওতায় নাগার পুকুর রয়েছে। সেই পুকুরকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। গত শনিবার (১৪ জুন) সকাল ৮ টার দিকে ওই গ্রামের মো আমিরুল ইসলাম একটি সুফলভোগীদের তালিকা তৈরি করে উপজেলা মৎস্য অফিসে জমা দেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। একপর্যায়ে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সাহেব বাজার গিয়ে পৌঁছালে পুর্বপরিকল্পিতভাবে অর্তকিত হামলা চালিয়েছে। চিকিৎসাধীন আহতরা জানান, গত কয়কে বছর আগে আবু তালেব ও নজরুল ইসলামের লোকজন রাতে পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালীয়ে পুলিশ সদস্যের হাতে থাকা রাইফেল ছিনিয়ে নিয়েছে এই আওয়ামী লীগের নেতারা। এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের পাওয়া যায়নি। তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান জানান , তালম সাহেব বাজার এলাকায় নিমগাছী সমাজ ভিত্তিক মৎস্যচাষ প্রকল্পের আওতায় নাগার পুকুর নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে বেশ কয়েজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মতামত