সারাদেশ

তাড়াশে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

তাড়াশে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

প্রকাশিত : ১৬ জুন ২০২৫, বিকাল ৪:৪০

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দলিল জালিয়াতি করে নামজারি ও তথ্য গোপন করে কয়েকগুণ কর আদায় এবং খারিজে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জুবায়ের আহম্মেদের বিরুদ্ধে। 

এ নিয়ে ভুক্তভোগী শামসুজ্জোহা ওই ভূমি কর্মকর্তার শাস্তি চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

ভুক্তভোগীর তথ্য ও অভিযোগসূত্রে জানা যায়, তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের মাঝিড়া মৌজায় তার পৈত্রিক সম্পত্তির খাজনা খারিজ করার জন্য কুন্দইল ভূমি অফিসে যান। তার বাবার মৃত্যুর পর খাজনা পরিশোধ করে নামজারির আবেদন করা হয়।কিন্তু তা করতে গিয়ে প্রথমে ওই সম্পত্তির ভূমি উন্নয়ন কর এক শ দুই টাকা পরিশোধ করা হয়। 

পরে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা জুবায়ের আহমেদ অনলাইনের মাধ্যমে ৮ হাজার ৩৭৬ টাকা খাজনা পুনরায় পরিশোধের কথা বললে, অভিযোগকারী শামসুজ্জোহা সে টাকাও পরিশোধ করেন।তিনি জানান, পূর্বের খারিজ সূত্রে তিন দাগ থেকে আবেদন করে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা কাছে গিয়ে জানতে পারেন, ১০০৩ খতিয়ানের ৫৭৩ দাগে ১৫ শতাংশ জমি ২০১৭ সালে নভেম্বর মাসের ৩৯৮৪ নং দলিল মূলে অন্যরা তার বাবার কাছ থেকে ক্রয় করে ১৫৯৪ খতিয়ানভুক্ত করেছেন।

 তিনি ডিসিআর ফি জমা দেবার পরেও অফিস থেকে হিসাবভুক্ত না করে কৌশলে মূল জোত থেকে জমির অংশ বাদ দিতে অবৈধ পন্থা অবলম্বন করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।অভিযোগকারী শামসুজ্জোহার দাবি, তার পিতা আব্দুল হালিম ২০১০ সালে মৃত্যুর পর ২০১৭ সালে জসিম উদ্দিন খোন্দকারের কাছে কিভাবে জমি বিক্রি করলেন? এবং ওই জালিয়াতি দলিল দিয়ে জসিম উদ্দিন খোন্দকারের নামে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা কিভাবে নামজারির প্রস্তাব দিয়ে নামজারি করালেন, প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এ নিয়ে কথা বলতে সগুনা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জুবায়ের আহম্মেদের মুঠোফোনে বারবার কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আইনগতভাবে দেখা হবে।