সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর হাটের ব্যবসায়ীদের মারধর, যমুনা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা সহ দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে থানা যুবদলের সদস্য সচিব সাইদুল ইসলাম রাজ সহ ৩ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক মাসুম রেজা মুসা’র স্বাক্ষরিত এক পত্রে অভিযুক্তদের ২ দিনের মধ্যে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। একই সাথে কেন তাদের বিরুদ্ধে স্থায়ী ভাবে পদক্ষেপ নেয়া হবে না এ বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়েছে। কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রাপ্ত অপর দুইজন হচ্ছেন এনায়েতপুর থানা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক বাবুল হোসেন বাবলু ও বাবুল আক্তার বসির।
জেলা যুবদলের সভাপতি আল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক মুরাদুজ্জামান মুরাদের নির্দেশ প্রাপ্ত হয়ে অভিযুক্তদের কাছে শনিবার পাঠানো পাঠানো কারণ দর্শানোর নোটিশে জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক মাসুম রেজা মুসা উল্লেখ করেছেন, সাইদুল ইসলাম রাজ, বাবুল হোসেন বাবলু ও বাবুল আক্তার বসির এনায়েতপুর থানা যুবদলের দায়িত্বশীল পদে থাকা অবস্থায় দলীয় নিয়ম নীতি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছেন। তারা এলাকার মানুষের সাথে খারাপ আচরণ সহ ভয় ভীতি প্রদর্শন, দলীয় নাম ব্যবহার করে নানা রকম অপরাধমূলক কাজ করছেন। যা দলের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। এ অবস্থায় নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে দলীয় ভাবে কেন স্থায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে না তা স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে দুই দিনের ভিতরে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, কারো জন্য দল মানুষের কাছে বিতর্কিত হবে। এটা মেনে নেয়া যাবে না। তাই দায়ী যেই হবে তাকে শাস্তির আওতায় আনান নির্দেশ দলের হাই কমান্ডের।
উল্লেখ্য, গতমঙ্গলবার সকালে এনায়েতপুর হাটের কাগজ ব্যবসায়ী বৃদ্ধ হাজী বাবুল হোসেন রাস্তা পার হবার সময় মোটরসাইকেল চাপা দেন থানা শ্রমিক দলের সভাপতি সানোয়ার হোসেনের ছেলে শাহীন হোসেন। এতে গুরুতর আহত হলে হাটের ব্যবসায়ীরা মোটরসাইকেল চালক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী শাহীনকে ধরে প্রতিবাদ করে। এরপর শাহিনের বাবা ছানোয়ার হোসেন, চাচা খুকনী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক, আরেক চাচা এনায়েতপুর থানা যুবদলের সদস্য সচিব সাইদুল ইসলাম রাজ সহ তার স্বজন ৪০-৪৫ জন লাঠি সোটা নিয়ে এসে আহত বাবুল হাজীকে পুনরায় দোকানে গিয়ে টেনে হিছরে আবারো মারধর করে ও দোকানে লুটপার চালায়। তখন ব্যবসায়ী ও এনায়েতপুর হাট বণিক সমিতির পরিচালক সালাউদ্দিন, সাবেক পরিচালক সেলিম মন্ডল ও আক্তার হোসেন এগিয়ে আসলে তাদেরও বেদম মারধর করে পুনরায় হামলা ও হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান। এরপর হাজী বাবুল হোসেন ও জামায়াত ইসলামী কর্মী সেলিম মন্ডলকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনাটি নিয়ে পুরো থানা জুড়ে নিন্দার ঝড় সহ শাস্থির দাবি জানিয়েছে ।
মতামত