ছবি : শিবগঞ্জে মরা গাছ যেন মরণ ফাঁদ!
বগুড়া শিবগঞ্জের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মসজিদের উপর টিনের চালা ভেদ করে দাঁড়িয়ে আছে একটি শতবর্ষী মরা মেহগনি গাছ। মসজিদটি উপজেলার প্রধান সড়ক সংলগ্ন হওয়ায় শুধু মুসল্লীরা নয়, মরা গাছটি নিয়ে আতঙ্কে আছে এলাকার সাধারণ মানুষও। যে কোন সময়ে ভারী যানবাহন চলাচলে মারাত্মক দূর্ঘটনার সৃষ্টি হতে পারে। এতে পথচারী ও যানচালকদের দূর্ঘটনার আশংকা নিয়েই প্রতি নিয়তই চলাচল করতে হচ্ছে। মরা গাছটি এখন এলাকার সকলের জন্য একটি মরণ ফাঁদ। বিষয়টি এলাকার সাধারণ মানুষের ভাবনান বিষয় হলেও দেখার কেও নেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সীমানা প্রাচীরের ভেতরে হাসপাতাল মসজিদের অজু খানার টিনের ছাউনি ভেদ করে দাঁড়িয়ে আছে মরা গাছটি। মরা গাছের ডালপালার মধ্য দিয়ে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন সহ ইন্টারনেট লাইন, ডিসলাইন, বাসা বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগসহ বিভিন্ন তার দেখা গেছে। মরা গাছের ডাল পালা গুলি পোকামাকড় খেয়ে এবং রোদ-বৃষ্টির কারনে নরম হয়ে আস্তে আস্তে ভেঙ্গে পরছে। যে কোন সময় সামান্য ঝড় ও বাতাসেই মরা মেহগনি গাছটি সড়কে ও মসজিদের উপর ভেঙ্গে পড়ে মারাত্মক দূর্ঘটনার সৃষ্টি হতে পারে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগী, মসজিদের মুসল্লীসহ হাজার হাজার পথচারী, মোটরসাইকেল, ভারীমালবাহী ট্রাক, অটোরিকশা, ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন চালকদের দূর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়েই চলাচল করতে হয় প্রতিনিয়ত।মসজিদের মুসল্লী ও স্থানীয়রা ঝুঁকিপূর্ণ মরা গাছটি কেটে অপসারনের দাবি জানালেও এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে মসজিদের নিয়মিত মুসল্লী ইউসুফ আলী বলেন, মসজিদের উপর শুকনো গাছটি প্রায় একবছর যাবৎ এমন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। গত কিছুদিন পুর্বে গাছের একটি শুকনো বড় ডাল মসজিদের অজু খানার উপর পড়ে মসজিদের টিনের অনেক ক্ষতি সাধন হয়েছে। এ গাছটি দ্রুত অপসারণ না করা হলে, যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জন মুসল্লী বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই গাছ ব্যাপারে একাধিকবার জানানো পরেও তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
এ সম্পর্কে ভ্যান চালক শুকুর আলী বলেন, গাছের মধ্য দিয়ে কত রকম তার গেছে। শুঁকে গাছটি দুর্বল হয়ে আছে, যে কোনো সময় গাছ ভেঙ্গে মসজিদ ও রাস্তার উপর পড়ে সমস্ত এলাকা কারেন্ট হয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের মসজিদের উপর এমন মরা গাছ থাকায় আমি হতাশ ।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার রুহুল আমিনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মরা গাছটি অবসারণের জন্য তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, আমি বিষয়টি অবগত হয়েছি। মরা গাছটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে ঝুঁকিপূর্ণ গাছটি দ্রুত অপসরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মতামত