ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমি বিরোধে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: আহত অন্তত ৫০, সেনা-পুলিশ মোতায়েন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) কয়েক দফায় এই সংঘর্ষ ঘটে। স্থানীয় লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতদের মধ্যে অন্তত ২০ জনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল ও সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে রহিম মিয়া (১৭), মনির মিয়া (৩৫), ইসরাইল মিয়া (৩০), সিরাজুল ভূইয়া (৪৫), মজলুম ইসলাম (৪৫), নাজমুল হক (৫০), মাহবুব (৩০), সাইফুল (২৩), ইউনুছ মিয়া (৫০), তারেক মিয়া (২৭), ইয়ামিন (১৪), জলিল মিয়া (৩০), বশির মিয়া (৩০), কুতুব আলী (৫৫), বশির (২০), রমুজ মিয়া (৫৫), জিহাদ মিয়া (২২), রিপন মিয়া (৩০) ও সাকিবুল (২০)। বাকিরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, পাকশিমুল গ্রামে সরাইল-অরুয়াইল সড়কের পাশে একটি জমি নিয়ে শিশু মিয়ার বংশের রাজিব ও সাধু মিয়ার বংশের নুরুল আমিনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বৃহস্পতিবার সকালে ওই জমিতে কাজ করতে গেলে এক পক্ষের ওপর হামলা হয় বলে অভিযোগ উঠে। এরপরই দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলতে থাকে।

এ বিষয়ে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল হাসান বলেন, "জমি সংক্রান্ত পুরোনো বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও সহায়তা করেন। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।"

তিনি আরও জানান, এখনো পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নূর বানু বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান ও থানায় বিষয়টি জানানো হয়। সংঘর্ষের ভয়াবহতা বিবেচনায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়, না হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বড় হতে পারত।”

উল্লেখ্য, ঘটনার সময় প্রায় ঘণ্টাখানেক সরাইল-অরুয়াইল সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রশাসন এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।