কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদুল আজহার জামাতে মুসল্লিদের ঢল নামে। শনিবার (৭ জুন) সকাল ৯টায় জামাত শুরু হয়। জামাতে ইমামতি করেন মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
ঈদগাহ ময়দানে জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ বিশিষ্টজনরা ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
দূর-দূরান্ত থেকে আসা মুসুল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য রয়েছে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল নামে দুটি ট্রেন। যা চলে ভৈরব-ময়মনসিংহ রোডে।
ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ২০১৬ সালের ৭ জুলাই ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য, এক নারী এবং এক জঙ্গিসহ চারজন নিহত হন। এ জঙ্গি হামলায় পুলিশসহ ১৬ মুসল্লি আহত হন। কিন্তু তারপরও ভাটা পড়েনি ঐতিহাসিক এ ঈদগাহ ময়দানের ঈদের জামাতে মুসল্লিদের সমাগমে। কিন্তু করোনার কারণে গত দুই বছর ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি।
জনশ্রুতি আছে, শাহ সুফি সৈয়দ আহমদ ঈদের জামাতের মোনাজাতে ভবিষ্যতে মাঠে মুসল্লিদের প্রাচুর্যতা প্রকাশে ‘সোয়া লাখ’ কথাটি ব্যবহার করেন। অন্য একটি মতে, সেই দিনের সেই জামাতে ১ লাখ ২৫ হাজার অর্থাৎ সোয়া লাখ লোক জমায়েত হন। ফলে ‘সোয়া লাখের অপভ্রংশ হয়ে ‘শোলাকিয়া’ নামটি চালু হয়ে যায়।
১৮২৮ সালে ইয়েমেন থেকে আগত সুফি সৈয়দ আহমেদ শোলাকিয়ার নিজস্ব তালুকে ঈদের জামাতের সূচনা করেন। তাঁর ইমামতিতেই প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। অনেকের মতে, মোনাজাতে তিনি মুসল্লিদের প্রাচুর্য বোঝাতে 'সোয়া লাখ' কথাটি ব্যবহার করেন, যার থেকেই 'শোলাকিয়া' নামের উৎপত্তি।
মতামত