ঈদুল আযহার ছুটিকে ঘিরে সম্ভাব্য নাশকতা রোধে, কুড়িগ্রাম জেলায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কড়াকড়ি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বিশেষ করে গ্রামীণ ব্যাংকসহ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আগুন ও হামলার মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা প্রতিরোধে বহিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
জানা গেছে, ঈদের আগের রাত থেকেই জেলার ১১টি থানা এলাকায় মোট ৫২টি গ্রামীণ ব্যাংক শাখা ও অন্যান্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পুলিশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।
এর মধ্যে কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর, রাজারহাট, নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী, ফুলবাড়ী, কচাকাটা, চিলমারী, রৌমারী, চর রাজিবপুর ও ঢুষমারা থানাধীন এলাকাগুলো অন্তর্ভুক্ত।
জেলা পুলিশের পাশাপাশি নিরাপত্তা কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছে গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), সাদা পোশাকের গোয়েন্দা সদস্য, আনসার, চৌকিদার ও দফাদার বাহিনী। প্রতিটি এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে পুলিশ টহল এবং নির্দিষ্ট কিছু পয়েন্টে মোতায়েন রয়েছে স্থায়ী নিরাপত্তা টিম।
বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে কুড়িগ্রাম সদরের ত্রিমোহনী এলাকায় অবস্থিত পল্লী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তার উপর। সেখানে জেলা পুলিশের একটি ইউনিট, ডিবি টিম এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা দল নিয়মিত নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে।
জেলা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, “যেকোনো ধরণের অরাজকতা প্রতিরোধে আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। ঈদের সময় সাধারণ মানুষ যাতে নিশ্চিন্তে ঈদ উদযাপন করতে পারে সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।”
স্থানীয় প্রশাসনের এ ধরনের উদ্যোগে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন সাধারণ জনগণ। ঈদের সময় ব্যাংক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় পুলিশের দৃশ্যমান উপস্থিতি মানুষের আস্থার জায়গা তৈরি করেছে বলেও জানিয়েছেন তারা।
মতামত