সিরাজগঞ্জ জেলার ১১টি পশুর হাটে অতিরিক্ত হাসিল নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালায় সেনাবাহিনীর একটি দল। পরে এ ঘটনার সত্যতা পেয়ে তাৎক্ষণিক অতিরিক্ত আদায় করা হাসিল ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় সেনাবাহিনী। পরে ইজারাদারেরা মাইকিং করে ৬৫ জন পশু ব্যবসায়ী ও ক্রেতার কাছ থেকে অতিরিক্ত আদায় করা এক লাখ ৩৫ হাজার ৩০০ টাকা ফেরত দেন। সেই সঙ্গে তারা ভবিষ্যতে অতিরিক্ত হাসিল নেবেন না বলে মুচলেকা দেন।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিকেলে সিরাজগঞ্জ সদরের রতনকান্দি, তাড়াশের নওগাঁ, রায়গঞ্জের চান্দাইকোনা ও বেলকুচি উপজেলার মুকুন্দগাঁতীসহ ১১টি পশুর হাটে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে অতিরিক্ত টাকা ফেরত পেয়ে উপস্থিত পশু ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা সেনাবাহিনীর এমন ভূমিকার প্রশংসা করেন। অভিযানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, প্রত্যেক উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সিরাজগঞ্জ সেনাবাহিনী ক্যাম্প এই তথ্য নিশ্চিত করে।
জানা গেছে, হাটে প্রতি ছাগলের হাসিল বাবদ ক্রেতার কাছ থেকে ৪০০ টাকা ও বিক্রেতার কাছ থেকে ১০০ টাকা আদায় করা হয়। অথচ এই খাজনা সরকারি তালিকা অনুযায়ী ছাগলের মূল্য অনুযায়ী ক্রেতার কাছ থেকে ১১০-২২০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ২২-৫৫ টাকা নেওয়ার কথা ছিল। অন্যদিকে, ইজারাদাররা গরুর হাসিল বাবদ ক্রেতার কাছ থেকে ৮০০ টাকা ও বিক্রেতার কাছ থেকে ২০০ টাকা আদায় করেন। যা সরকারি তালিকা অনুযায়ী ক্রেতার কাছ থেকে গরুর মূল্য অনুযায়ী ৩৩০-৬০০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ৬০-১২০ টাকা নেওয়ার কথা।
চান্দাইকোনা পশু হাটের এক হাসিল আদায়কারী বলেন, অতিরিক্ত হাসিলের বিষয়ে প্রশাসন খেয়াল রাখছে। অতিরিক্ত টাকা আদায় করলে সেনাবাহিনী এসে সেই টাকা ফেরত দিয়ে দিতে বলেন। অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়ার সময় ইজারাদাররা ভবিষ্যতে সরকার নির্ধারিত হাসিলের বাইরে অতিরিক্ত খাজনা নেবেন না বলেও সেনাবাহিনীর কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
মতামত